নারায়ণগঞ্জ: সোনারগাঁওয়ে এবছর কোরবানির হাট মাতাবে সিনবাদ ও আলাল নামের দুটি গরু। উপজেলার পশুর হাট ও ফার্মগুলো ঘুরে দেখা গেছে সবচেয়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে, ক্রেতাদের পছন্দের শীর্ষে ও দামের দিক দিয়ে সেরা অবস্থানে আছে সিনবাদ ও আলাল নামে আমেরিকান ফ্লাকবি জাতের ষাঁড় দুটি।
সোনারগাঁ ডেইরি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নজরুল ইসলামের মতে, সিনবাদের ওজন প্রায় এক হাজার কেজি ও আলালের ওজন একহাজার বিশ কেজি। ষাঁড় দুটির দাম হাঁকাচ্ছেন ১৭ থেকে ১৮ লাখ টাকা।
সোনারগাঁ উপজেলার সনমান্দী ইউনিয়নের কাফাইকান্দা গ্রামের তার মালিকানাধীন সোনারগাঁ ডেইরি ফার্মে গত চার বছর ধরে আমেরিকান ফ্লাকবি সিনবাদ ও আলাল নামের ষাঁড়টিসহ বিভিন্ন জাতের মোট ৭০টি ষাঁড় লালন পালন করছেন। তার খামারে প্রতিদিন বিভিন্ন স্থান থেকে ক্রেতারা গরু দেখতে আসছেন।
আসন্ন ইদুল আযহাকে সামনে রেখে এ বছর দুই হাজার সাতশ ৮০ জন খামারি সোনারগাঁয়ের বিভিন্ন গ্রামে কোরবানিতে বিক্রির জন্য পশু মোটাতাজাকরণ করেছেন।
নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাক্তার মো. ফারুক হোসেন বলছেন, কোরবানির জন্য সব দরকারি ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
সরেজমিনে সোনারগাঁয়ে বিভিন্ন খামারে গিয়ে দেখা গেছে, খামারিরা বিভিন্ন পশুর হাটে বিক্রির জন্য পালিত পশুগুলোকে প্রস্তুত করছেন। খামারিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গো খাদ্যের দাম কয়েক দফায় বৃদ্ধি পাওয়ায় লাভের আশঙ্কা কম তবে ভারতীয় গরু বাজারে না আসলে হয়তো তাদের পালিত পশু বিক্রি করে কিছুটা লাভের মুখ দেখতে পারবেন।
পশুর খাবারের তালিকায় ছিল খৈল, ভুষি, খড়, সবুজ ঘাস, ছোলা ও ঝাউয়ের মতো প্রাকৃতিক খাবার। প্রাকৃতিক উপায়ে সম্পূর্ণ স্টেরয়েড ও ইনজেকশনমুক্ত বিশুদ্ধ গো-খাদ্যের মাধ্যমে বড় করে কোরবানির জন্য বিক্রয় করছেন বলে জানিয়েছেন ফার্ম কর্তৃপক্ষ।
ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নজরুল ইসলাম বলেছেন, প্রাকৃতিকভাবে গরু বড় করে আমরা বিক্রি করে আসছি। সম্রাট, সুলতান, সিনবাদ, সাদা বাবু, কালো বাবু, আলাল দুলালসহ ৭০টি ষাঁড় গরু তৈরি করেছি। বডি ওজন করেও বিক্রি হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, বিক্রিত গরু ক্রেতার বাড়ি পর্যন্ত নিরাপদে পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থা আছে। এছাড়া গাভী থেকে প্রতিদিন ৫০০ লিটার দুধ পেয়ে থাকেন।
আইএ