সোনারগাঁও : ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সড়ক ও জনপদ বিভাগ সওজের জমি দখল করে দোকান নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে। মহাসড়কের দড়িকান্দি বাস স্ট্যান্ড এলাকায় এ জমি দখল বাজিজ্যের অভিযোগ উঠে।
দড়িকান্দি গ্রামে আওয়ামী লীগ নেতা শাহজাহান মিয়া, মামুন মিয়া ও বাবু ওই জমিতে দোকান ঘর নির্মাণ করে কয়েক লাখ টাকা বাণিজ্য করছেন বলে অভিযোগ উঠে। সওজের জমি দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করে বানিজ্য করায় স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তবে নারায়ণগঞ্জ সওজের প্রধান নির্বাহী প্রকৌশলী শাহানা ফেরদৌস বলেছেন সওজের জমিতে গড়ে উঠা এ অবৈধ স্থাপনা দ্রুত উচ্ছেদ করা হবে।
জানা যায়, উপজেলার সনমান্দি ইউনিয়নের দড়িকান্দি বাস স্ট্যান্ড এলাকার সম্প্রতি ফুটওভার ব্রীজ নির্মাণ করা হয়। নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার পর পরিত্যক্ত জমিতে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা পরিচয়ে সড়ক ও জনপদ বিভাগের পরিত্যাক্ত জমিতে দড়িকান্দি গ্রামের শাহজাহান মিয়া, মামুন মিয়া ও বাবু ৮-১০টি দোকানঘর নির্মাণ করে। প্রতিটি দোকান থেকে অগ্রিম ২০ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকা নিয়ে এসব দোকানঘর ভাড়া দিয়েছেন। এসব দোকান থেকে প্রতিমাসে তারা ৫-৭ হাজার করে ভাড়া উত্তোলন করে নিচ্ছেন।
জমি সওজের হলেও ওই জমিতে আওয়ামী লীগের নাম ভাঙ্গিয়ে অবৈধভাবে দোকান নির্মাণ করে আওয়ামী লীগ নেতাদের পকেটে ভাড়া নিয়ে যাচ্ছেন। ফুট ওভার ব্রীজের পাশে এসব দোকান পাট গড়ে তোলার কারনে ফুটওভার ব্রীজ দিয়ে চলাচলাকারীরা চলাচলের সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী বলেন, সড়ক জনপদ বিভাগের জমিতে শাহজাহানের নেতৃত্বে কয়েকজন দোকানঘর নির্মাণ করে ভাড়া দিয়ে খাচ্ছেন। তারা একটু সরকারী জায়গা পেলেও সেটা দখল করে নেয়। এসব দখলদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জোর দাবি জানাচ্ছি। আমরা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী জমি অন্যের হলেও তাদের ভাড়া দিয়ে আমাদের দোকানদারী করতে হচ্ছে।
সূত্র জানায়, আওয়ামী লীগ নেতা শাহজাহান, মামুন মিয়া ও বাবু দোকান ঘর নির্মাণ করে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের কাছে এসব দোকানের অগ্রিম বাবদ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী আনিছুর রহমান আনিছের কাছ থেকে ২০হাজার টাকা, মোক্তার হোসেনের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা, খোকন মিয়ার কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা, কামাল মিয়ার কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা নিয়েছেন। এভাবে তারা সরকারি জমি দখল করে কয়েক লাখ টাকার বানিজ্য করেছেন বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।
অভিযুক্ত দখলদার শাহজাহানের সঙ্গে একাধিকবার তার মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।
সোনারগাঁ থানার ওসি এস এম কামরুজ্জামান পিপিএম বলেন, মহাড়কের ২০কিলোমিটার এলাকায় সওজের অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদের জন্য পুলিশের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। আশা করি দ্রæত এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে।
সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল্লাহ আল মাহফুজ বলেন, দখলদার যত বড়ই শক্তিশালী হোক না কেন কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। তবে সওজের পক্ষ থেকে উচ্ছেদে সহযোগিতার জন্য চিঠি পাওয়া গেছে। এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে।
নারায়ণগঞ্জ সড়ক ও জনপদ বিভাগ সওজের প্রধান নির্বাহী প্রকৌশলী শাহানা ফেরদৌস বলেন, সওজের জমিতে গড়ে উঠা এ অবৈধ স্থাপনা দ্রæত উচ্ছেদ করা হবে। মোগরাপাড়া চৌরাস্তা থেকে শুরু করে আশপাশের সকল স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে। অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের জন্য গণ বিজ্ঞপিÍ প্রকাশ করা হয়েছে।
এমটিআই