কক্সবাজার : পবিত্র ঈদুল আজহার প্রথম দিনে কক্সবাজারে দেখা মেলেনি কাঙ্ক্ষিত পর্যটকের। বিশ্বের দীর্ঘ সমুদ্র সৈকতের এই শহরে প্রায় চার শতাধিক হোটেল রয়েছে। এসব হোটেলের প্রায় ৩৫ শতাংশ কক্ষ এখনো খালি। তবে হাতেগোনা কিছু ভ্রমণপিপাসুর দেখা মিলছে শহরে। সাগরপাড়ের ব্যবসায়ীরা আশা করছেন আগামীকাল থেকে পর্যটক সংখ্যা বাড়তে পারে।
এদিন সমুদ্র সৈকত ছাড়া ইনানী, হিমছড়ি, পাটোয়ারটেক, রামুর বৌদ্ধবিহার, মহেশখালীর আদিনাথ মন্দির ও টেকনাফ সমুদ্র সৈকত বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কসহ বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে কিছু পর্যটককে ঘুরে বেড়াতে দেখা যায়। তাদের ভ্রমণ নির্বিঘ্ন করতে জেলার সব পর্যটন স্পটে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
চলতি মৌসুমে বৃষ্টি বেশি হওয়ায় সাগর উত্তাল। একের পর এক ঢেউ আঁচড়ে পড়ছে উপকূলে। আজ (১৭ জুন) বিকাল ৩টার দিকে সৈকতের কলাতলী পয়েন্টে দেখা যায়, মাত্র শতাধিক মানুষ বালুচরে হাঁটছেন। সৈকতজুড়ে অন্তত ৫০০টি কিটকট (চেয়ার-ছাতা) বসানো হলেও সব কটি খালি পড়ে আছে। ভ্রাম্যমাণ আলোকচিত্রীরাও লোকজনের অপেক্ষায় আছেন।
ঢাকার মিরপুরের বাসিন্দা রিফাত বলেন, কক্সবাজারে এসেছি গতকাল। একদম ফাঁকা। আগেও বেশ কয়েকবার এসেছি, তবে এ রকম চিত্র প্রথম। বর্ষা মৌসুম হওয়ায় সাগরের ঢেউ উপভোগ করছি।
আরেক পর্যটক রিংকু দেবনাথ বলেন, ফাঁকা কক্সবাজার অনেক ভালো লাগছে। আজ ঈদুল আজহার প্রথম দিন হওয়ায় মানুষ নেই। আগামীকাল থেকে হয়তো পর্যটক আসবে।
কক্সবাজার হোটেল গেস্টহাউস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার বলেন, ঈদ উপলক্ষে পর্যটকদের জন্য বিশেষ ছাড় দেওয়া হয়েছে। তারপরও কাঙ্ক্ষিত পর্যটক পাওয়া যাচ্ছে না। আগামীকাল থেকে হয়তো পর্যটক বাড়বে।
এমটিআই