লক্ষ্মীপুর: লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে স্ত্রী শাহনাজ বেগমকে কুপিয়ে হত্যার পর মরদেহ বাড়িতে রেখে পালিয়ে যান মুয়াজ্জিন শিহাব উদ্দিন। বৃহস্পতিবার (২০ জুন) রাতে উপজেলার সুজন গ্রামে তার কর্মরত মসজিদের সিঁড়ির নিচ থেকে তাকে আটক করে পুলিশ। ঘটনার পর পরই তিনি সিঁড়ির নিচে আত্মগোপনে ছিলেন।
আটক শিহাব একই উপজেলার শ্যামল গ্রামের বাসিন্দা ও সুজন গ্রামের একটি মসজিদের মুয়াজ্জিন ছিলেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, মুয়াজ্জিনের চাকরি করায় শিহাব তার স্ত্রী শাহনাজকে নিয়ে সুজন গ্রামে একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন। বৃহস্পতিবার সকালে শিহাব ছাগলের মাংস কাটছিলেন। এরমধ্যে স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়া হয়। পরে শিহাব তার হাতে থাকা ধারালো চুরি দিয়ে শাহনাজকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে রক্তাক্ত করেন। এতে ঘটনাস্থলেই শাহনাজ মারা যান। একপর্যায়ে মরদেহ ঘরে রেখে শিহাব পালিয়ে যান। খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
রামগতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মোসলেহ্ উদ্দিন সোনালীনিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, স্ত্রীকে হত্যার ঘটনায় শিহাবকে আটক করা হয়েছে। তিনি থানায় রয়েছেন। তার বিরুদ্ধে হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে।
আইএ