• ঢাকা
  • বুধবার, ০৩ জুলাই, ২০২৪, ১৯ আষাঢ় ১৪৩১

পাবনায় সাংবাদিক প্রবীর সাহাকে মারধরের অভিযোগ


পাবনা প্রতিনিধি জুলাই ১, ২০২৪, ০৭:৩৭ পিএম
পাবনায় সাংবাদিক প্রবীর সাহাকে মারধরের অভিযোগ

পাবনা: কালের কন্ঠের পাবনা প্রতিনিধি প্রবীর কুমার সাহাকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে জেলা পরিষদ সদস্য নজরুল ইসলাম সোহেল ও তার অনুসারীদের বিরুদ্ধে।

সোমবার (০১ জুলাই) দুপুরে পাবনা জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কক্ষে ও তার বাইরে এই ঘটনা ঘটে।

সাংবাদিক প্রবীর সাহার অভিযোগ, পেশাগত দায়িত্ব পালনে দুপুরের দিকে জেলা পরিষদে যান তিনি। সেখানে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে দেখা করতে তার কক্ষে প্রবেশ করেন। সেখানে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদ সদস্য নজরুল ইসলাম সোহেল। এ সময় সাংবাদিক প্রবীর সাহা প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে কথা বলার ইচ্ছা ব্যক্ত করেন। সেইসাথে জেলা পরিষদ সদস্য নজরুল ইসলাম সোহেলের সাথে কথা শেষ হলে তাকে (প্রবীর) ডাকতে বলেন।

তখন হঠাৎ করেই জেলা পরিষদ সদস্য সোহেল রাগান্বিত স্বরে প্রবির সাহাকে বলেন, 'হ্যাঁ আপনি কত বড় সাংবাদিক হয়েছেন, আমাকে বের হয়ে যতে বলেন। আপনি বের হয়ে যান।' এক পর্যায়ে সাংবাদিক প্রবির সাহাকে ধাক্কাতে ধাক্কাতে কক্ষের বাইরে নিয়ে যান। এ সময় চেঁচামেচি শুনে জেলা পরিষদে থাকা সোহেলের অনুসারীরা এসে প্রবীর সাহাকে শার্টের কলার ধরে কিল ঘুষি মারতে থাকেন। পরে সেখানে থাকা জেলা পরিষদের কর্মচারীরা তাকে উদ্ধার করে নিরাপদে বাইরে নিয়ে যান।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত জেলা পরিষদ সদস্য নজরুল ইসলাম সোহেল বলেন, 'প্রবীর সাহা হঠাৎ করে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কক্ষে এসে বলেন তার সাথে কথা আছে। আমাকে বের হয়ে যেতে বলেন। তখন বিষয়টি আমার মাইন্ডে লেগেছে। তাই কিছু কথা কাটাকাটি হয়েছে। তাকে মারধর করা হয়নি।'

জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ অতুল মন্ডল বলেন, 'আমি, জেলা পরিষদ সদস্য সোহেল ও সাংবাদিক প্রবীর সাহা একসাথে আমার কক্ষে আসি। ওই সময় সাংবাদিক প্রবীর সাহা আমার সাথে কথা বলতে চান। তিনি সোহেল সাহেবকে বলেন, আপনি থাকবেন, নাকি আমি থাকবো। এটা নিয়ে কেন জানি হুট করে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। পরে তারা কক্ষের বাইরে চলে যান। সেখানে কি হয়েছে বলতে পারবো না।'

এদিকে, সাংবাদিক প্রবীর সাহাকে মারধরের ঘটনায় পাবনা প্রেসক্লাবের সভাপতি এবিএম ফজলুর রহমান সহ জেলায় কর্মরত সাংবাদিকরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তারা অবিলম্বে ঘটনা তদন্ত করে জেলা পরিষদ সদস্য সোহেলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।

এমএস

Wordbridge School
Link copied!