• ঢাকা
  • রবিবার, ০৬ অক্টোবর, ২০২৪, ২১ আশ্বিন ১৪৩১

তাড়াশে সরকারি জায়গা দখল করে ইউপি সদস্যের ঘর নির্মাণ!


সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি:  জুলাই ৭, ২০২৪, ০৯:৫৮ পিএম
তাড়াশে সরকারি জায়গা দখল করে ইউপি সদস্যের ঘর নির্মাণ!

সিরাজগঞ্জ: জায়গা নিয়ে আদালতে মামলা চলাবস্থায় সিরাজগঞ্জের তাড়াশে সরকারি জায়গা দখল করে অবৈধভাবে দোকান ঘর নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে বারুহাস ইউনিয়ন পরিষদের ৪নং ওয়ার্ডের সদস্য মো. আব্দুল হান্নানের বিরুদ্ধে। 

গত কয়েকদিন যাবত বস্তুল বাজারের ভূমি অফিসের সামনে বাঁশের চাটায়ের বেড়া দিয়ে গোপনীয়ভাবে ছুটির দিনে ও রাতের আধারে ইট, বালু ও সিমেন্ট দিয়ে স্থায়ীভাবে ঢালাইয়ের কাজ করলেও নিশ্চুপ রয়েছে ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা। কর্তৃপক্ষের নিরব ভূমিকা নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে দেখা দিয়েছে নানা ক্ষোভ।
 
স্থানীয় ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা মো. সুমন হায়দারের যোগসাজশে এ দোকান ঘর নির্মাণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী। এর আগেও অনৈতিক সুবিধা নিয়ে সাবেক ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা মুস্তাগীর কবিরের সহযোগিতা নিয়ে কয়েকজন প্রভাবশালী সরকারী জায়গা দখল করে দোকান ঘর নির্মাণ করেছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। তবে কাউকে সরকারি জায়গায় ঘর নির্মাণের অনুমতি দেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন উপজেলা সহকারী কমিশনার মো. খালিদ হাসান।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় এলাকাবাসীরা অভিযোগ করে বলেন, তাড়াশ উপজেলাধীন বারুহাস ইউনিয়নের বস্তুল গ্রামে এস এ দাগ ৭৫০/৭৫১, আর এস দাগ ১১৭৫/১১৭৬ তহশিল অফিস ও হাটের নামে রেকর্ডভুক্ত ভূমি। এ ভূমিতে উক্ত দাগগুলো নিয়ে সিরাজগঞ্জ আমলী আদালতে একাধিক মামলা চলমান রয়েছে। অথচ বিরাজমান জায়গাটি আব্দুল হান্নান মেম্বার কোন প্রকার লিজ ছাড়াই সরকারী সম্পত্তি ও হাটের জায়গা দখল করে দোকানঘর নির্মাণ করছেন। 

এ যেন দখলদারিত্বের রামরাজত্ব চলছে। এ এলাকার হাট পেরিফেরির সকল জায়গা ভূমি কর্মকর্তাদের যোগসাজশে প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় একের পর এক দখলে নিচ্ছেন প্রভাবশালীরা। এর আগেও ওই এলাকায় কয়েকটি জায়গা ভূমি কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে জায়গা দখল করে ঘর নির্মাণ করে ভাড়া আদায় করছেন এই বিতর্কিত ইউপি সদস্য আব্দুল মান্নান। তাঁর এসব কর্মকাণ্ডে আওয়ামী লীগের ভাবমূর্তি চরমভাবে ক্ষুন্ন হচ্ছে।
 
তবে ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তার যোগসাজশে দোকান ঘর নির্মাণের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন বস্তুল ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা মো. সুমন হায়দার।
 
এ বিষয়ে বারুহাস ইউনিয়ন পরিষদের ৪নং ওয়ার্ডের সদস্য মো. আব্দুল হান্নান বলেন, আমাকে মৌখিকভাবে অনুমতি দিয়েছেন এসিল্যান্ড স্যার। আর সকল নিয়ম মেনেই আমি ঘর নির্মাণ করছি। সরকারি জায়গায় ঢালাই করে ঘর নির্মাণের বিধান রয়েছে কিনা প্রশ্ন করলে তিনি কোন সদুত্তর দেননি।
 
তাড়াশ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. খালিদ হাসান বলেন, সরকারি জায়গায় কাউকে আমি ঘর তোলার অনুমতি দিতে পারি না। তবে যদি কেউ লিজ নেয়, সেখানেও পাকা ঘর নির্মাণের বিধান নেই। আমার নাম ভাঙ্গিয়ে যদি কেউ ঘর নির্মাণ করে তাহলে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
 
এ প্রসঙ্গে তাড়াশ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুইচিং মং মারমা বলেন, ঘর নির্মাণের বিষয়টি বেশ কয়েকদিন আগে আমি অবগত হয়েছি। তবে সরকারি জায়গায় পাকা স্থাপনা নির্মাণ বিধিসম্মত নয়। যদি কেউ সরকারি জায়গায় পাকা স্থাপনা নির্মাণ করে তাহলে তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এআর

Wordbridge School
Link copied!