কুমিল্লা: কুমিল্লায় কোটাবিরোধী আন্দোলন কর্মসূচির ভিডিও করায় এক শিক্ষার্থীকে হলে তুলে নিয়ে পেটানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে আন্দোলনে বিরোধীতাকারীদের বিরুদ্ধে। আহত অবস্থায় তাকে কুমিল্লা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শুক্রবার (১২ জুলাই) সকালে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের নজরুল হলে এ ঘটনা ঘটে।
আহতের নাম তামিম হোসেন। তিনি কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের ডিগ্রি প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী এবং কলেজটির সাংবাদিক সমিতির সদস্য ও কলেজটির মাসিক পত্রিকা ভিক্টোরিয়া বাতায়নের কর্মী বলে জানা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ ব্যানারে ডাকা বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে যোগ দেয় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের ছাত্ররা। কুমিল্লা সদরের ধর্মপুর এলাকায় কলেজের ক্যাম্পাসে তারা বিক্ষোভ মিছিল করছিল। এসময় সংবাদ সংগ্রহে যায় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ সাংবাদিক সমিতির সদস্যরাসহ জেলার সাংবাদিকরা। তাদের সঙ্গে যুক্ত হয় তামিম। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে বাধা দিতে আসে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের ডিগ্রি শাখার নজরুল হলের শিক্ষার্থীরা। তামিমকে ভিডিও করতে দেখে প্রথমে তার মোবাইল নিয়ে যায় হলের কয়েকজন শিক্ষার্থী। পরে তাকে মোবাইল দেবে বলে হলের দিকে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে হলের একটি কক্ষে নিয়ে তার ওপর নির্যাতন করা হয়। এসময় তার মাথা, হাত, পা ও চোখসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত করা হয়।
পরে নির্যাতনের দুই ঘণ্টা পর খবরটি জানতে পারে কান্দিরপাড় পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা। এসময় তারা তামিমকে হল থেকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে। পরে সাধারণ ছাত্রদের তত্ত্বাবধানে তাকে হাসপাতালের জরুরি ভর্তি করা হয়।
আহত তামিম বলেন, আমার থেকে তারা মোবাইল নিয়ে যায়। পরে আমাকে নির্যাতন করে। তারা আমাকে বিভিন্ন হুমকি ধামকি দেয়।
এবিষয়ে কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ ফিরোজ হোসেন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। কলেজের নজরুল হলের কয়েকজন শিক্ষার্থী তাকে আটক করে পুলিশকে খবর দেয়। পরে শিক্ষকদের তত্বাবধানে তাকে কুমিল্লা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এসআই