কুড়িগ্রাম: কুড়িগ্রামের বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। নদ-নদীর বিভিন্ন পয়েন্ট পানি হ্রাস পেলেও ব্রহ্মপুত্রের চিলমারী, হাতিয়া ও নুনখাওয়া পয়েন্টে পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বন্যা পরিস্থিতি দীর্ঘ হওয়ার চরম দুর্ভোগে পড়েছে বানভাসী মানুষজন।
দীর্ঘ ১২দিন ধরে ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় বন্যা কবলিত মানুষজন কর্মহীন হয়ে পড়েছে। হাতে কাজ ও ঘরে খাদ্য না থাকায় তারা ত্রানের জন্য ছোটাছুটি করছে।
বসতবাড়ী ও সড়কে পানি থাকায় ঘরে ফিরতে পারছেনা বানভাষীরা। অনেকই গবাদি পশুসহ বন্যা আশ্রয় কেন্দ্র ও উচু সড়কে আশ্রয় নিয়ে কষ্টে দিন কাটাচ্ছে।
এদিকে, জেলা প্রশাসন থেকে বন্যা কবলিত ৫৫ ইউনিয়নে ২ লাখেরও বেশী মানুষের জন্য ৫৮৭ মেট্রিক টন চাল,নগদ ৩৩ লাখ টাকা ও ২৫ হাজার প্যাকেট শুকনো বিতরন করা হলেও, অধিকাংশ ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ ত্রানের আওতায় আসেনি।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড , দুধকুমার, তিস্তা ও ধরলা নদীর পানি হ্রাস পেয়ে বিপদসীমা নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
অন্যদিকে, ব্রহ্মপুত্র নদের চিলমারী, হাতিয়া ও নুনখাওয়া পয়েন্ট বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এসআই