ভোলা: ভোলায় পৃথক পৃথক স্থান থেকে এক স্কুলছাত্রীসহ চার জনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এর মধ্যে একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে লালমোহনের গজারিয়া বাজার থেকে, এক জনের ভোলা সদরের নাছির মাঝি সংলগ্ন মেঘনা নদী থেকে, স্কুল ছাত্রীর আত্মহত্যার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে নবিপুর থেকে, অপর একজনের চরফ্যাশনের মেঘনা নদী থেকে।
শনিবার (১৩ জুলাই) সকাল, দুপুর ও বিকেলে পৃথক চারটি স্থান থেকে এ মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ভোলা সদর, লালমোহন ও চরফ্যাশন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
লালমোহনের গজারিয়া বাজার থেকে যে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়েছে সেটি স্থানীয় একটি মসজিদের খাদেমের মরদেহ। তার নাম মো. সাইফুল ইসলাম। তিনি মসজিদের ছাদে বিদ্যুৎষ্পৃষ্ট হয়ে মারা গেছেন।
চরফ্যাশনের মেঘনা নদী থেকে যে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়েছে। সেটি আনিছুর রহমান নামের এক ব্যক্তির। এছাড়াও সদর উপজেলার ধনিয়া ইউনিয়নের নাছির মাঝি সংলগ্ন মেঘনা নদী থেকে যে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়েছে, সেটির পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
লালমোহন থানার উপপরিদর্শক (এসআই) অপূর্ব অপু জানায়, সাইফুল ইসলাম নামের ওই ব্যক্তি গজারিয়া পূর্ব বাজার জামে মসজিদের খাদেম ছিলেন। সকালে মসজিদের চাদর বিছানা রৌদ্রে শুকানোর জন্য মসজিদের ছাদে নিয়ে যান তিনি। সেখানে অসাবধানতাবশত বিদ্যুৎষ্পৃষ্ট হয়ে সাইফুল ইসলামের মৃত্যু হয়। সাইফুল ইসলাম ইসলামী ছাত্র আন্দোলন লালমোহন উপজেলার গজারিয়া শাখার সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
চরফ্যাশন থানার ওসি শাখাওয়াত হোসেন জানান, সকালে চরফ্যাশন উপজেলার চর মাদ্রাজ ইউনিয়নের মোহাম্মদপুর ৬ নম্বর ওয়ার্ড বেড়িভাঙ্গা সংলগ্ন মেঘনা নদী থেকে অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তির ভাসমান মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
উদ্ধার হওয়া অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিটি বরিশাল জেলার বিমানবন্দর থানার চাঁদপাশা ইউনিয়নের আর্জি কালিকাপুর ময়দানের হাট গ্রামের বাসিন্দা। আনিছুর রহমানের স্বজনরা লাশটি শনাক্ত করেছে। ময়নাতদন্ত শেষে আইনি প্রক্রিয়ায় মরদেহটি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
এছাড়াও ভোলা সদর মডেল থানার ওসি মিজানুর রহমান পাটোয়ারী জানান, দুপুর দুইটার দিকে উপজেলার ধনিয়া ইউনিয়নের নবীপুর গ্রামের জয়নাল আবেদীনের মেয়ে স্কুলছাত্রী আত্মহত্যা করা আঞ্জুমান (১৬) নামের একটি মরদেহ উদ্ধার করে।
এছাড়া বিকেলের দিকে ধনিয়া ইউনিয়নের নাছির মাঝি সংলগ্ন মেঘনা নদী থেকে অজ্ঞাতনামা একটি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। লাশটি পুরুষের। লাশের বেশিরভাগ অংশ পঁচে নষ্ট হয়ে গেছে। শরীরে একটি স্যান্টু গেঞ্জি রয়েছে। মাথার খুলিও পঁচে নষ্ট হয়ে গেছে। তবে ধারণা করা হচ্ছে, গত এক সপ্তাহ আগে ভোলার মেঘনা নদীতে ড্রেজার ডুবিতে যে ৩ শ্রমিক নিখোঁজ রয়েছে, এই মরদেহটি তাদের ৩ জনের মধ্যে যেকোনো একজনের হতে পারে।
তবে লাশটি অর্ধগলিত হওয়ার কারণে পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হচ্ছে না। ডিএনএ পরীক্ষার রেজাল্ট পাওয়ার পর পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যাবে। লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য ভোলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এআর