• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১

বাসচাপায় নানা-নাতনি নিহতের ঘটনায় চালক গ্রেপ্তার 


লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি  জুলাই ১৪, ২০২৪, ১২:০৬ পিএম
বাসচাপায় নানা-নাতনি নিহতের ঘটনায় চালক গ্রেপ্তার 

ছবি : প্রতিনিধি

লক্ষ্মীপুর: লক্ষ্মীপুরে বাসচাপায় নছির মোল্লা ও নাতনি মিম আক্তার নিহতের ঘটনায় পলাতক চালক মো. একরামকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শনিবার (১৩ জুলাই) রাতে র‍্যাব-১১ এর নোয়াখালী ক্যাম্পের কোম্পানী অধিনায়ক (ভারপ্রাপ্ত) মো. গোলাম মোর্শেদ প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। 

এর আগে বিকেলে ফেনী জেলার সদর এলাকায় অভিযান চালিয়ে একরামকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব। একরাম কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের কেছকিমুড়া দক্ষিণপাড়া গ্রামের জানু মিয়ার ছেলে। 

র‍্যাব জানায়,  ৮ জুলাই সকালে সদর উপজেলার পূর্ব হাজিরপাড়া এলাকায় লক্ষ্মীপুর-ঢাকা আঞ্চলিক মহাসড়কে বেপরোয়া গতির বাসচাপায় মিম ও তার নানা নছির মারা যায়। তারা ভোলা জেলার বাসিন্দা। নানা-নাতনি চট্টগ্রাম থেকে ভোলার উদ্দশ্যে লক্ষ্মীপুরে আসছিলেন। পথে বাসটি ঘটনাস্থলে পাম্পে দাঁড়ালে নছির তার নাতনিকে নিয়ে রাস্তার বিপরীত পাশে কিছু কেনার উদ্দেশ্যে দোকানে যাচ্ছিলেন। তখন রাস্তা পারাপারের সময় যমুনা পরিবহনের একটি বাস তাদের চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যায় শিশু মিম আক্তার। নানা নছিরও গুরুতর আহত হন। তাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনিও মারা যান। ঘটনার পরপরই ঘাতক বাসের চালক পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় সারাদেশে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। ঘটনার পরপরই র‍্যাব ঘাতক চালককে শনাক্তকরণসহ ঘটনার তদন্ত শুরু করে। 

র‍্যাব-১১ এর নোয়াখালী ক্যাম্পের কোম্পানী অধিনায়ক (ভারপ্রাপ্ত) মো. গোলাম মোর্শেদ বলেন, নানা-নাতনির মৃত্যুর ঘটনায় চন্দ্রগঞ্জ থানায় সড়ক পরিবহণ আইনে এফআইআর (০৫/১৫৫) দাখিল করা হয়। ঘটনাটি ক্লুলেস ছিল। ঘটনার পরপরই আমরা চালককে শনাক্তকরণে কাজ শুরু করি। গোপনসংবাদের ভিত্তিতে র‍্যাব-৭ ফেনী ক্যাম্পের সহযোগীতায় যৌথ অভিযান চালিয়ে চালক একরামকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামী তার দোষ স্বীকার করে বলেছে তিনি যমুনা বাসের চালক ছিল। তাকে পরবর্তী আইনি কার্যক্রমের জন্য চন্দ্রগঞ্জ হাইওয়ে থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। 

জেইউবি/এসআই

Wordbridge School
Link copied!