লক্ষ্মীপুর: রায়পুর পৌরসভার নগর উন্নয়ন প্রকল্পের প্রায় ১৩ লাখ টাকা বরাদ্দের রাস্তা (সিসি) নির্মাণ কাজে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এতে নতুন খোয়া ব্যবহার করার কথা থাকলেও ঠিকাদার তা করছে না। ঠিকাদার বেশি লাভের আশায় পুরনো সলিং রাস্তার ইটই খোয়া হিসেবে ব্যবহার করছে।
মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) বিকেলে পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ কেরোয়া এলাকার জবেদ উল্লাহ তপদার বাড়িতে গেলে স্থানীয়রা এ অভিযোগ করেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তপদার বাড়ির ১০৫ মিটার সিসি ঢালাইয়ের রাস্তার কাজটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান জম জম এন্টারপ্রাইজ পেয়েছে। তবে কাজটি করাচ্ছেন নুরউদ্দিন শিপলু ভাট নামে এক ঠিকাদার। তিনি রায়পুর পৌরসভার মেয়র গিয়াস উদ্দিন রুবেল ভাটের ভাই।
তপদার বাড়ির বাসিন্দা মো. সোহাগসহ আরও কয়েকজন বলেন, আমরা শুনেছি পুরনো ইটগুলো পরিস্কার করে রাস্তায় বিছিয়ে তার ওপর বালু ও নতুন খোয়া দিয়ে ঢালাই দেওয়া হবে। পরে রড বিছিয়ে পাথরের কংক্রিটের সিসি ঢালাই হবে। কিন্তু ঠিকাদারের লোকজন পুরনো রাস্তার ইট উত্তোলন করে খোয়া বানিয়েছে। ওই খোয়া রাস্তার কাজে ব্যবহার করছে। রাস্তার পাশে গাইড হওয়ার কথা ছিল দেড় ফুট, কিন্তু দেড় ফুট না করে ১ ফুট করেছে।
কাজ তদারকি]র দায়িত্বে থাকা রায়পুর পৌরসভার উপ-সহকারী প্রকৌশলী আবু তাহের সাগর জানান, ১০৫ মিটার সিসি রাস্তার কাজটি নগর উন্নয়ন প্রকল্পের অধীনে। এরজন্য প্রায় ১৩ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এ কাজে পুরনো রাস্তার ইট ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানে নিয়ে যাবে। রাস্তায় প্রথমে বালু ফেলে সমান্তরাল করা হবে। পরে ইটের খোয়া ফেলে ঢালাই। এরপর রড বিছিয়ে পাথরের কংক্রিটের ঢালাই দেওয়া হবে।
প্রকৌশলী সাগর বলেন, রাস্তা থেকে পুরনো ইট উঠিয়ে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ঘটনাস্থলেই খোয়া করেছেন। সেখান থেকে খোয়াগুলো সরিয়ে ফেলা হবে। ওই খোয়া রাস্তাটিতে ব্যবহার করা যাবে না। ঠিকাদার তা অন্য কোন কাজে তা ব্যবহার করতে পারবেন। খোয়াগুলো এখন ঠিকাদারের।
ঠিকাদার নুরউদ্দিন শিপলু ভাট বলেন, ৫টি বাড়ির রাস্তার ৫৯ লাখ টাকার একটি প্রকল্পের জম জম এন্টারপ্রাইজ থেকে কিনে নিয়েছে। এরমধ্যে তপদার বাড়িও রয়েছে। ওই বাড়ির পুরনো রাস্তার ইট দিয়ে সেখানে খোয়া করা হয়েছে। সেগুলো আমি নিয়ে আসবো। নিয়ম অনুযায়ী কাজ শেষ করা হবে। বাড়ির লোকজনের বুঝতে ভুল হয়েছে, এজন্য অভিযোগটি করেছেন।
এআর