রংপুর: হামার ভাই ফাইভে বৃত্তি পাইছে, এইটে বৃত্তি পাইছে, টেনে বৃত্তি পাইছে, হামার ভাই অনেক মেধাবী ছিলো বিলোপ করতে করতে এমনটাই বলেন কোটা সংস্কার আন্দোলনে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের নিহত সাঈদ এর বোন।
দরিদ্র পরিবারের ৯ ভাই বোন এর মধ্যে সাঈদ একমাত্র বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছিলেন। অভাবের কারনে তার ভাই-বোনরা লেখাপড়া করতে না পারলেও নিজ চেষ্টায় লেখাপড়া চালিয়ে গেছিলো সাঈদ।
খালাশপীর দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে গোল্ডেন জিপিএ ৫ পেয়ে এসএসসি পাস করে। পরে রংপুর সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসিতে একই ফলাফল নিয়ে সাঈদ বেগম রোকেয়া বিশ্ববিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি বিভাগে ভর্তি হন।
বোনের আবদারে বিসিএস ক্যাডার হওয়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন নিহত সাঈদ।তাইতো মৃত্যুর খবর শুনেই বাড়িতে গগনবিদারী আহাজারি করতে থাকে তার বোন।
সাঈদের ছোট বোন সুমি আর্তনাদে করতে করতে বলেন, “হামার ভাইকে ওরা মেরে ফেলল ক্যান? হামার ভাই বেঁচে থাকলে হামার হেরে স্বপ্ন পুরুণ হলো হয়। ও ভাইও হামাক এনা বোন কয়া ডাকো রে।”
উল্লেখ্য যে,আজ দুপুরে বেরোবির কোটা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে শহরের লালবাগ এলাকা থেকে ক্যাম্পাসের দিকে যায়। এরপর ক্যাম্পাসে প্রবেশের চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। একপর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ বাধে। তখন পুলিশ শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে রাবার বুলেট ছোড়ে। এ সংঘর্ষে তিনি নিহত হন।
এআর