• ঢাকা
  • রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১

পাবনা জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি সবুজ কারাগারে


পাবনা প্রতিনিধি জুলাই ২৫, ২০২৪, ১০:৫০ এএম
পাবনা জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি সবুজ কারাগারে

ছবি : প্রতিনিধি

পাবনা: গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় পাবনা জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মিজানুর রহমান সবুজ (২৫) কে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

বুধবার (২৪ জুলাই) বেলা আড়াইটার দিকে পাবনার চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। আদালতের বিচারক মো. কামাল হোসেন শুনানী শেষে জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

আসামীপক্ষে আইনজীবি অ্যাডভোকেট আব্দুল আহাদ বাবু এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে গত ১১ জুন উচ্চ আদালতে জামিন আবেদন করেছিলেন মিজানুর রহমান সবুজ। কিন্তু শুনানী শেষে জামিন না দিয়ে পরবর্তী ৬ সপ্তাহের মধ্যে পাবনার নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন উচ্চ আদালত।

মামলায় আসামীপক্ষে আইনজীবি ছিলেন অ্যাডভোকেট আব্দুল আহাদ বাবু, দেওয়ান মজনুল হক ও বেলায়েত আলী বিল্লু। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন এপিপি অ্যাডভোকেট মকিবুল আলম লাবলু।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে ২০২৩ সালের ২ ডিসেম্বর পাবনার চাটমোহরে এক পথসভায় উস্কানি ও হুমকিমুলক বক্তব্য দিয়েছিলেন জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মিজানুর রহমান সবুজ। সেদিন তিনি বলেনছিলেন ‘পাবনা-৩ আসনে মকবুল চাচা ছাড়া কেউ ভোট করতে পারবে না। যারা নৌকার বিপক্ষে অবস্থান করবে তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করলাম।’

এ বিষয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মিজানুর রহমান সবুজকে নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগে ৪ ডিসেম্বর কারণ দর্শানো নোটিশ দেন পাবনা-৩ আসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির সদস্য, যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ তাজউল ইসলাম। এরপর কারণ দর্শানো নোটিশের জবাব দিতে ৫ ডিসেম্বর স্বশরীরে হাজির হয়ে লিখিত ব্যাখ্যা দিয়ে আচরণবিধি ভঙ্গের ঘটনায় নি:শর্ত ক্ষমা চান সবুজ।

এ বিষয়টি নির্বাচন কমিশনে লিখিতভাবে জানান নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির দায়িত্বপ্রাপ্ত বিচারক। পরে ২০২৪ সালের ১ জানুয়ারী জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মিজানুর রহমান সবুজের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের সিদ্ধান্ত নেয় নির্বাচন কমিশন। ওইদিন নির্বাচন কমিশনের উপ-সচিব (আইন) মো. আব্দুস সালাম স্বাক্ষরিত এক পত্রে সবুজের বিরুদ্ধে চাটমোহর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে মামলা দায়েরের নির্দেশ দেয়া হয়।

এরপর চাটমোহর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সাজ্জাদ হোসেন বাদি হয়ে ২০২৪ সালের ২ জানুয়ারী চাটমোহর থানায় সবুজকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নম্বর জিআর ৬/২৪।

আসামীপক্ষের আইনজীবি অ্যাডভোকেট দেওয়ান মজনুল হক বলেন, ‘এটা নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গের মামলা। আত্মসমর্পণ করার পর তার জামিন আবেদন করলেও আদালত দেননি। আমরা আগামীতে আবারো তার জামিনের চেষ্টা করবো।’

এসআই

Wordbridge School
Link copied!