বরিশাল: বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কোটা সংস্কার আন্দোলনরী সমন্বয়ক ও শিক্ষার্থীদের উপর অতর্কিত হামলা চালিয়েছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের নামধারী ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। এ ঘটনায় ১৫ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।
সোমবার (২৯ জুলাই ) দুপুর ২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাউন্ড ফ্লোরে কোটা সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়করা তাদের পরবর্তী কর্মসূচি নিয়ে সভার জন্য একত্রিত হলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উপস্থিতিতে এ হামলা করে ছাত্রলীগের নামধারী একদল নেতাকর্মী।
জানা যায়, সভার কথা শুনেই সকাল ১০টা থেকে ক্যাম্পাসের চারটি ফটকে পুলিশ, র্যাব ও সেনাবাহিনীকে অবস্থান নিতে দেখা যায়। আন্দোলনকারীরা এসময় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের প্রশাসনিক ভবন-১ এর নিচ তলায় অবস্থান নেন।
এসময় নামধারী ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের সামনে জড়ো হয়ে বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে ভিতরে ঢুকে যান এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সামনেই লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা করেন তারা।
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সুজয় শুভসহ সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর অতর্কিত হামলা চালিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের কতিপয় নেতা-কর্মীরা। এ ঘটনায় ছাত্র-ছাত্রী সহ আহত হয়েছেন ১৫ জন।
হামলা ঘটনায় বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কোটা সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়ক সুজয় বিশ্বাস শুভ, ভূমিকা সরকারসহ আরো ১৩ জন আহত হন। আহত শিক্ষার্থীদের শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শিক্ষার্থীরা জানান, রাতে গ্রাফিতি নষ্ট করে দিনে প্রকাশ্যে হামলার চালিয়েছে পরিচয়ধারী ছাত্রলীগ নেতা কর্মীরা।
আহত সমন্বয়কারী সুজয় বিশ্বাস শুভ বলেন, গত পরশু দিন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা একটা সংবাদ সম্মেলন করে কতিপয় গণমাধ্যম এই সংবাদ সম্মেলনের তথ্যকে বিকৃতি রুপে প্রকাশ করে সারাদেশে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের প্রশ্নবিদ্ধ করে ফেলে।
সে ব্যাপারে পরবর্তীতে সঠিক সিন্ধান্ত নেওয়ার জন্য আমরা সমন্বয়কারীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাউন্ড ফ্লোরে মিটিং এ বসেছিলাম। এমতাবস্থায় ছাত্রলীগের একটি গ্রুপ আমাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এতে ১৫ জন আহত হয়েছে। শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি ৯ জন ভর্তি রয়েছেন।
অভিযোগের ব্যাপারে বক্তব্য জানতে আবুল খায়ের আরাফাতের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. কাইয়ুম হোসেনও কল রিসিভ করেননি।
হামলার সময় বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে উপস্থিত ছিলেন বন্দর থানার ওসি আবদুর রহমান মুকুর। তিনি বলেন, হামলার খবর শুনে আমরা উপস্থিত হয়ে নিবৃত্ত করি। আমরা যতদূর শুনেছি, আন্দোলনের পক্ষের ছাত্রদের সঙ্গে সাধারণ ছাত্রদের হাতাহাতিতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। আহতদের মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে৷
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বদরুজ্জামান ভূঁইয়া বলেন, এ ধরনের ঘটনা কাম্য নয়৷ সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর যেকোনো ধরনের হামলার সাথে যারা যারা জড়িত থাকবে তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷
উল্লেখ্য, প্রতিষ্ঠাকালীন থেকে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের কোনো কমিটি নেই।
এআর
আপনার মতামত লিখুন :