• ঢাকা
  • বুধবার, ১৫ জানুয়ারি, ২০২৫, ১ মাঘ ১৪৩০

সোনারগাঁয়ের আ.লীগের ৪০ নেতাকর্মীর বাড়িঘরে ভাঙচুর  


সোনারগাঁ প্রতিনিধি আগস্ট ৭, ২০২৪, ০৮:৪৯ পিএম
সোনারগাঁয়ের আ.লীগের ৪০ নেতাকর্মীর বাড়িঘরে ভাঙচুর  

সোনারগাঁ: নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে ব্যক্তিগত শত্রুতা কাজে লাগিয়ে শ্রমিক লীগ নেতা শুক্করের ইন্ধনে আওয়ামী লীগের ৪০ নেতাকর্মীর বাড়িতে হামলা ভাংচুর ও লুটপাট করেছে বিএনপির নেতাকর্মীরা। 

মঙ্গলবার (৭ আগস্ট) সন্ধ্যায় ও গতকাল বুধবার সকালে বারদী ইউনিয়নের নুনেরটেক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। হামলা ও ভাংচুরের ঘটনায় ২০জন নারী পুরুষ আহত হন। 

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে যাওায়ার পর নুনেরটেক এলাকার আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা বাড়ি ছেড়ে আত্মগোপনে যাওয়া সুযোগে বিএনপির নেতাকর্মীরা এ হামলা চালায়। ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনায় শ্রমিকলীগ নেতা শুক্কর মাহমুদের ইন্ধন রয়েছে বলে জানিয়েছেন ভূক্তভোগী আওয়ামী লীগ নেতারা। 

এ ঘটনায় সোনারগাঁ থানার ওসি এসএম কামরুজ্জামানকে একাধিকবার ফোন করা হলে মোবাইল রিসিভ করেননি। 

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, উপজেলার বারদী ইউনিয়নের নুনেরটেক গ্রামে গত মঙ্গলবার ও গতকাল বুধবার সকালে ওয়ার্ড বিএনপির সহ-সভাপতি আব্দুল কাদির ও বারদী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য মো. জিলানী মিয়ার নেতৃত্বে মোস্তফা, মনির হোসেন, সামসুদ্দিন, রফিক ও গুলবক্স, বাউল চাঁনসহ ৫০-৬০জনের একটি দল ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউপি সদস্য ওসমান গণি, আবুল হাসেম, মনির হোসেন, স্বপন মিয়া, নজরুল ইসলাম, মাহমুদ, আমজাদ হোসেন, মনিরুল ইসলাম মনির, খলিল মিয়া, জাকারিয়া, মিজানুর রহমানের ৪০টি ঘরে হামলা চালিয়ে ভাংচুর, লুটপাট করে। হামলার সময় বাড়ির নারী ও শিশুরা নিজেদের রক্ষার্থে আতংকিত হয়ে আত্ম চিৎকার শুরু করে।

ভূক্তভোগী ৬ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি ও ইউপি সদস্য ওসমান গণি বলেন, শ্রমিক লীগ নেতার সঙ্গে রাজনৈতিক দ্বন্ধ কাজে লাগিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের দিয়ে তাদের বাড়িঘর হামলা ও ভাংচুর চালিয়েছে। বাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়ার কারনে আমাদের ওপর হামলা করতে পারেনি। ভাংচুর ও লুটপাট থেকে আমাদের হত্যার হুমকি দেওয়া হয়।

আওয়ামী লীগ নেতা আবুল হাসেম বলেন, রাজনৈতিকভাবে আমরা সহবস্থানে ছিলাম। তবে নারায়ণগঞ্জ জেলা শ্রমিক লীগের সহ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শুক্কর মাহমুদের সাথে শত্রুতার কারনে বিএনপির নেতাকর্মীদের ইন্ধন দিয়ে বাড়িঘরে হামলা ও ভাংচুর, লুটপাট করে। তার অফিস থেকে ৬ লাখ টাকা লুট করেছে বলে অভিযোগ তুলেছেন।

নারায়ণগঞ্জ জেলা শ্রমিক লীগের সহ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শুক্কর মাহমুদ বলেন, বাড়িঘর ভাংচুরের ঘটনায় তার ইন্ধন নেই। আমিও আওয়ামী লীগ করি। আমার চাচা ও ফুফা বিএনপি করে তাই আমার বাড়িঘরে হামলা করেনি।

এমএস

Wordbridge School
Link copied!