গোপালগঞ্জ: গোপালগঞ্জে সেনাবাহিনীর কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। স্থানীয় লোকজন শনিবার (১০ আগস্ট) সন্ধ্যায় একটি ও রোববার আরেকটি অস্ত্র উদ্ধার করেন।
অস্ত্রগুলো প্রথমে গোপীনাথপুর তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মো. আশরাফুল হোসেনের কাছে জমা দেন তারা। তিনি অস্ত্র জমা নিতে অসম্মতি জানালে পরে স্থানীয়রা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান লাচ্চু শরীফের কাছে জমা দেন। পরে তিনি সেনাবাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং রোববার দুপুরে দায়িত্বরত সেনাবাহিনীর কাছে সেগুলো জমা দেন।
এর আগে শনিবার সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনার দাবিতে (১০ আগস্ট) গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার গোপীনাথপুর বাসস্ট্যান্ডে বেলা ৩টার দিকে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রায় ৫ হাজার নেতাকর্মী ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল করে।
এ সময় মহাসড়কে প্রায় ৫ কিলোমিটার যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে গোপালগঞ্জে টহলরত দুটি সেনাসদস্যের দল উপস্থিত হয়ে যানজট নিরসনে বিক্ষোভকারীদের অবরোধ প্রত্যাহার করতে বলে। কিন্তু উত্তেজিত বিক্ষোভকারীরা সেনা টহল দলের ওপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে এবং দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। এ ছাড়াও বিক্ষোভকারীরা সেনাবাহিনীর একটি গাড়ি পুড়িয়ে দেয় ও দুটি গাড়ি ভাঙচুর করে এবং দুটি অস্ত্র ছিনিয়ে নেয়।
এ ঘটনায় জেলাজুড়ে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। সেখানে মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত সেনাসদস্য। সাঁজোয়াযান নিয়ে জেলার প্রধান প্রধান সড়কে অবস্থান নিয়েছে সেনাবাহিনী।
এক বিজ্ঞপ্তিতে আইএসপিআর জানায়, তিনজন অফিসার, একজন জুনিয়র কমিশন অফিসার ও পাঁচজন সেনাসদস্য আহত হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে দায়িত্বরত সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল মাকসুদুর রহমান জানান, আইএসপিআর ছাড়া আমরা কোনো তথ্য দিতে পারবো না।
এ বিষয়ে গোপালগঞ্জ সদর থানার ওসি আনিসুর রহমান জানান, আমাদের কাছে কেউ মামলা করতে আসেনি, কোনো মামলাও হয়নি।
এমএস