লালমনিরহাট: পাটগ্রাম উপজেলায় বোমা মেশিনে পাথর উত্তোলনের সময় গর্তে ডুবে বিষাদু মিয়া(৩৬) নামের এক শ্রমিক নিখোঁজ হয়েছেন। সোমবার (১২ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে উপজেলার শ্রীরামপুর ইউনিয়নের মধ্য ইসলামপুর (২ নম্বর ওয়ার্ড) বুলু মাস্টারের ঘাটে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিখোঁজ বিষাদু মিয়া ওই ইউনিয়নের আউলিয়ারহাট (৬ নম্বর ওয়ার্ড) কাকাতু মুন্সিরবাড়ি এলাকার বাসিন্দা মৃত আফাজ উদ্দিনের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, অবৈধভাবে বোমা মেশিন বসিয়ে ভুগর্ভস্থ পাথর উত্তোলন করে ব্যবসা করছেন একটি চক্র। প্রতিদিনের মতো সকালে উপজেলার শ্রীরামপুর ও বুড়িমারী ইউনিয়নের ধরলা নদীতে শতাধিক অবৈধ বোমা মেশিন বসিয়ে পাথর উত্তোলন করছিল চক্রটি।
এ সময় অসাবধনতায় কাজ করতে গিয়ে গর্তে পড়ে ডুবে যান শ্রমিক বিষাদু মিয়া। পরে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তার সন্ধান না পেয়ে স্থানীয়রা পাটগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলকে খবর দেয়। ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলের কর্মীরা তিন ঘণ্টা ধরে অভিযান পরিচালনা করলেও নিখোঁজ বিষাদু মিয়ার সন্ধান পায়নি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শ্রীরামপুর ইউনিয়নের মধ্য ইসলামপুর এলাকার একজন বাসিন্দা খবরের কাগজকে জানান, ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা নিখোঁজ বিষাদু মিয়ার সন্ধানে খোঁজাখুঁজি করছে। অবৈধভাবে বোমা মেশিন দিয়ে পাথর উত্তোলনের কারণে নদীর কোনো অংশে স্রোত বেশি কোথাও হাঁটু পানি, আবার কোথাও চর জেগে উঠেছে। বোমা মেশিন দিয়ে পাথর উত্তোলনের গর্তের সৃষ্টি হওয়া নদীর অংশে স্রোত বেশি থাকায় গর্তের চোরাবালিতে তলিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
শ্রীরামপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম প্রধান বলেন, স্থানীয়রা অনেক খোঁজাখুঁজি করার পরেও তার সন্ধান মেলেনি। নিখোঁজ বিষাদুর খোঁজে ফায়ার সার্ভিস কাজ করছে।
উল্লেখ্য যে, গতবছরের (২৫ জুলাই) পাটগ্রাম উপজেলার ধরলা নদীতে গোসল করতে নেমে নাহিদ আহমেদ রাফসান সরকার (১৫) ও মিসকাত হোসেন (১২) নামের দুই কিশোরের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়।
এআর