গাজীপুর: গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র জায়েদা খাতুন মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) থেকে অফিস করছেন। তিনি সিটি করপোরেশনের পূবাইল ও গাছা জোনে অফিস করেন। এসময় তার সঙ্গে দুজন প্যানেল মেয়র এবং কয়েকজন কাউন্সিলরসহ সিটি করপোরেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে ঢাকায় আওয়ামী লীগের সমাবেশে যাওয়ার সময় উত্তরায় সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম গুরুতর আহত হন। পরে তিনি সিঙ্গাপুরে গিয়ে চিকিৎসা নেন। গত ২০ জুলাই মেয়র জায়েদা খাতুনের বাসভবন, সিটি করপোরেশনের দুটি আঞ্চলিক কার্যালয় ও কয়েকটি কাউন্সিলরের কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে দুর্বৃত্তরা।
কোটা সংস্কার আন্দোলন আরও বেগবান হলে ৫ আগস্ট মেয়র জায়েদা খাতুনের বাসভবনে দ্বিতীয় দফা ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। এতে বাসভবনে থাকা সব মালামাল, আসবাবপত্র, সিটি করপোরেশনের গুরুত্বপূর্ণ কিছু নথিপত্র, ব্যক্তিগত ব্যবহার্য বস্ত্র আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। এরপর থেকে মেয়র জায়েদা খাতুন অফিস করেননি। ঘটনার পর মেয়র জায়েদা খাতুন ও তার ছেলে সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম অন্যত্র বসবাস করছেন।
আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ও নিজ বাসভবন ভাঙচুরের পর থেকে অফিস করছিলেন না মেয়র জায়েদা খাতুন। নগরীর সাধারণ ওয়ার্ডের ৫৭ জন ও সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ডের ১৯ জন কাউন্সিলরের মধ্যে বেশিরভাগই পলাতক। তবে বিএনপিপন্থি ১৩ জন কাউন্সিলর ছিলেন প্রকাশ্যে। মঙ্গেলবার মেয়র জায়েদা খাতুন অফিস করলে তার সঙ্গে বিএনপিপন্থি কয়েকজন কাউন্সিলর ছাড়াও আওয়ামী লীগপন্থি কয়েকজন কাউন্সিলরকে দেখা গেছে।
গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সচিব আব্দুল হান্নান বলেন, সিটি করপোরেশনের কাজকর্ম স্বাভাবিক রয়েছে। মেয়রসহ কর্মকর্তারা অফিস করছেন। তবে যানবাহন স্বল্পতায় কাজে কিছুটা ব্যাঘাত ঘটছে।
আইএ
আপনার মতামত লিখুন :