রংপুর : বৈষম্য বিরোধর কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে গুলিতে রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ নিহতের ঘটনায় ১৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে ভুক্তভোগির পরিবার।
রোববার (১৮ আগস্ট) বিজ্ঞ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালত তাজহাট রংপুরে মামলা দায়ের করেন নিহত আবু সাঈদের ভাই রমজান আলী।
মামলায় ১ নং আসামী করা হয়েছে এ এসআই আমির আলীকে। এছাড়া দ্বিতীয় আসামী কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়সহ পুলিশের অন্যান্য কর্মকর্তা রয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, মামলায় ১ নং আসামি করা হয়েছে এ এসআই আমির আলী, ২নং আসামী কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়, বেরোবি ছাত্রলীগ সভাপতি পোমেল বড়ুয়া, মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী কমিশনার আরিফুজ্জামান, আল ইমরান হোসেন, উপ-কমিশনার আবু মারুফ হোসেন, বেরোবির প্রক্টর কর্মকর্তা রাফিউল হাসান রাসেল, বেরোবির শিক্ষক মশিউর রহমান, বেরোবির শিক্ষক আসাদুজ্জামান মন্ডল, বেরোবি ক্যাম্প ইনচার্জ এস আই বিভুতি ভুষণ রায়, তাজহাট থানার ওসি রবিউল ইসলাম, বেরোবি ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ধনঞ্জয় কুমার টগর, দপ্তর সম্পাদক বাবুল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শামিম মাহফুজ, সাবেক মেট্রোপলিন পুলিশ কমিশনার মোঃ মনিরুজ্জামান, সাবেক রংপুর রেঞ্জ ডিআইজি আব্দুল বাতেন, সাবেক পুলিশের আইজিপি আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ আরো অজ্ঞাত ৩০ থেকে ৩৫ জনকে।
গত ১৬ জুলাই বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে রংপুরে কোটা সংস্কার আন্দোলনে পুলিশ ও ছাত্রলীগ-যু্বলীগের সঙ্গে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ওই দিন পুলিশের গুলিতে ঘটনাস্থলেই আবু সাঈদের মৃত্যু হয়।
নিহত আবু সাঈদের বাড়ি রংপুর জেলার পীরগঞ্জ উপজেলায়। আবু সাঈদ রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয়টির বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ছিলেন।
এমটিআই