• ঢাকা
  • শনিবার, ১৬ নভেম্বর, ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১

নান্দাইলে কাজ না করেই ১০ লাখ টাকা উত্তোলন!


নান্দাইল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি  আগস্ট ২০, ২০২৪, ০৮:৫৪ পিএম
নান্দাইলে কাজ না করেই ১০ লাখ টাকা উত্তোলন!

নান্দাইল: ময়মনসিংহের নান্দাইলে কাজের বিনিময়ে টাকা (কাবিটা) প্রকল্পের অওতায় জাহাঙ্গীরপুর ইউনিয়নের জাহাঙ্গীরপুর গ্রামে হজরত জাহাঙ্গীরশাহ (র.) এর মাজার সংস্কারসহ যেখানে প্রবেশের রাস্তা আরসিসিকরণের জন্য ১০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয় উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস। 

কিন্তু কাজ শেষ না করেই গত ৩০ জুন পুরো টাকা উত্তোলন করে নিয়ে যান প্রকল্প সভাপতি মো.খালিদ হোসেন খোকন। তিনি সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুস সালামের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা। সরেজমিন পরিদর্শন করে প্রকল্প বাস্তবায়ন না হওয়ার সত্যতা পাওয়া গেছে।

নান্দাইল উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় (পিআইও) সূত্রে জানা যায়, বিগত অর্থবছরে গৃহীত দুটি প্রকল্পের নাম হচ্ছে হজরত জাহাঙ্গীর শাহ (র.) মাজারে প্রবেশের রাস্তা আরসিসিকরণ ও জাহাঙ্গীর শাহ মাজার সংস্কার। রাস্তা আরসিসিকরণের বরাদ্দ ছয় লাখ ও মাজার সংস্কারের বরাদ্দ চার লাখ টাকা। 

খালিদ হোসেন খোকন চেয়ারম্যান হওয়ার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, 'আমি নান্দাইলের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মা এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী সোহেল মিয়াকে সড়কের নির্মাণকাজ করার জন্য নিয়োজিত করেছিলাম। তিনি ঠিকাদারি কাজ শুরু করেও কাজটি শেষ করছেন না। এখন বুঝতেই পারছেন দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিরর কারণে ঠিকাদার হয়তো কাজটি শেষ করতে সময় নিচ্ছেন।'

তবে ঠিকাদার সোহেল মিয়া জানান, প্রকল্পের সভাপতি খালিদ হোসেন খোকন তাঁকে মাত্র দুই লাখ টাকা নিয়েছেন। এই টাকা খরচ করে তিনি সড়কের মাটি খোদাইয়ের কাজ করে রেখেছেন। চুক্তির ব্যকি টাকা না পেলে তিনি কাজ করার ঝুঁকি চনবেন না। প্রকল্প সভাপতি খালিদ হোসেন খোকন জানান, পরিবর্তিত পরিস্থিতির কারণে তিনি কাজটি গুরু করতে পারছেন না। 

জাহাঙ্গীর শাহ মাজার কমিটির সদস্য মো. আবদুল আজিজ বলেন, আমি মাজারসহ মাদরাসা পরিচালনার কাজে সহায়তা করে থাকি। বিগত সরকারের আমলে প্রকল্প দুটি গ্রহণ করায় ভেবেছিলাম সড়ক ও মাজার সংস্কার হবে। কিন্তু আর্থিক বছর শেষ হওয়ার পরও প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়ন করা হয়নি। কত টাকার প্রকল্প সেটা তাও আমাকে জানানো হয়নি। তবে লোকমুখে শুনেছি ১০ লাখ টাকা বরাদ্দ হয়েছে।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. আহসান উল্লাহ বলেন, 'পুরো টাকা ছাড় দেওয়া হয় নাই। কাজ শেষ করলেই বাকি টাকা ছাড় দেওয়া হবে। অন্যদিকে জানা যায়, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস গত ৩০ জনের আগে সব প্রকল্পের টাকাই নিজ নিজ প্রকল্পের চেয়ারমানের নামে চেক দিয়ে দিয়েছে।'

এমএস

Wordbridge School
Link copied!