বরিশাল: বিভিন্ন নদ-নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় কয়েকটি নদীর পানি বিপৎসীমার প্রবাহিত হয়েছে। এ পর্যন্ত বরিশাল বিভাগের ৭ টি নদীর পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পূনিমা জো ও বৈরি আবহাওয়ার কারণে পানি বেড়েছে বলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী তাজুল ইসলাম।
তিনি জানান,বাংলাদেশ উপকূলীয় এলাকায় অবস্থানরত লঘুচাপটি ঘণীভূত হয়ে সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হওয়ায় বরিশালে নদীর পানি বেড়েছে। প্রতিদিন দুইবার জোয়ারের সময় অনেক নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করে, আবার ভাটার সময় পানি নেমে যায়।
বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের হাউড্রোগ্রাফি বিভাগের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, কীর্তনখোলা নদীর পানি বিপদসীমা ২ দশমিক ১০ সেন্টিমিটার হলেও ২ দশমিক ১৫ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। একইভাবে বিষখালীর নদীর ঝালকাঠি পয়েন্টের পানির বিপৎসীমা ১ দশমিক ৪০ সেন্টিমিটার। কিন্তু প্রবাহিত হচ্ছে ১ দশমিক ৪৪ সেন্টিমিটার উচ্চতা দিয়ে। বিষখালী নদীর বেতাগী পয়েন্টে প্রবাহিত হচ্ছে ১ দশমিক ৮১ সেন্টিমিটার উচ্চতায়। এ পয়েন্টের বিপৎসীমা ১ দশমিক ৬৮ সেন্টিমিটার।
এ দিকে, একই নদীর বরগুনা পয়েন্টের বিপৎসীমা ১ দশমিক ৯৭ সেন্টিমিটার। প্রবাহিত হচ্ছে ২ দশমিক ৬ সেন্টিমিটার দিয়ে। পাথরঘাটা পয়েন্টে বিষখালী নদীর বিপৎসীমা ১ দশমিক ৭৫ সেন্টিমিটার। প্রবাহিত হচ্ছে ১ দশমিক ৮২ সেন্টিমিটার উচ্চতায়।
সুরমা-মেঘনা নদীর দৌলতখান পয়েন্টের বিপৎসীমা ২ দশমিক ৭৫ সেন্টিমিটার। প্রবাহিত হচ্ছে ৩ দশমিক ৩৪ সেন্টিমিটার দিয়ে। একই নদীর তজুমদ্দিন পয়েন্টের বিপৎসীমা ২ দশমিক ২২ সেন্টিমিটার। প্রবাহিত হচ্ছে ৩ দশমিক ১২ সেন্টিমিটার। তেতুলিয়া নদীর ভোলা খেয়াঘাট এলাকার বিপৎসীমা ১ দশমিক ৯১ সেন্টিমিটার। প্রবাহিত হচ্ছে ১ দশমিক ৯৬ সেন্টিমিটার দিয়ে।
বুড়িশ্বর নদীর আমতলী পয়েন্টে বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে মির্জাগঞ্জ পয়েন্টে বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ পয়েন্টের বিপৎসীমা ১.৮০ সেন্টিমিটার। প্রবাহিত হচ্ছে ১ দশমিক ৮৩ সেন্টিমিটার উচ্চতায়। কচা নদীর উমেদপুর পয়েন্টের বিপৎসীমা ১ দশমিক ৬৫ সেন্টিমিটার। প্রবাহিত হচ্ছে ১ দশমিক ৭৫ সেন্টিমিটার উচ্চতায়। বলেশ্বর নদীর পিরোজপুর পয়েন্টের বিপৎসীমা ১ দশমিক ৪৯ সেন্টিমিটার। প্রবাহিত হচ্ছে ১ দশমিক ৬৫ সেন্টিমিটার উচ্চতায়।
এসআই