• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১

কমতে শুরু করেছে ৩ জেলার বন্যার পানি


নিজস্ব প্রতিবেদক আগস্ট ২৩, ২০২৪, ০২:৪১ পিএম
কমতে শুরু করেছে ৩ জেলার বন্যার পানি

ঢাকা: দীর্ঘ ৮ দিন পর নোয়াখালীতে রোদের দেখা মিলেছে। ভাটায় পানি মেঘনা নদীতে নামতে শুরু করলেও এখনও পানিবন্দি আছেন ২০ লাখ মানুষ। শুক্রবার (২৩ আগস্ট) সকালে সুবর্ণচরসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে সূর্যের দেখা মেলে।

জেলা আবহাওয়া অফিস বলছে, গত ১৬ আগস্ট থেকে টানা বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এতে জলাবদ্ধতা বাড়ে এবং মুহুরী নদীর পানি প্রবেশ করায় তা বন্যায় রূপ নেয়। শুক্রবার সকাল ৯টা পর্যন্ত ৭১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

জানা গেছে, টানা বৃষ্টিতে নোয়াখালীর বন্যা পরিস্থিতি দিন দিন অবনতির দিকে গেছে। পানিবন্দি হয়েছেন ২০ লাখ মানুষ। প্রায় ৪ শতাধিক আশ্রয়কেন্দ্রে ঠাঁই নিয়েছেন ৪০ হাজারের বেশি মানুষ। এছাড়া বন্যায় ভেসে গেছে ৮ উপজেলার কয়েক হাজার মাছের প্রজেক্ট, মুরগি খামার, আমনের বীজতলা, শাকসবজি খেত এবং ঝড়ো বাতাসে ভেঙে গেছে কাঁচা গাছপালা। বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে পড়ায় বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে কয়েকটি এলাকা।

অন্যদিকে বৃষ্টিপাত না হওয়ায় আখাউড়ায় বন্যার পানি কমতে শুর করেছে। তবে বেশ কিছু এলাকার বাসিন্দারা এখনও পানিবন্দি হয়ে আছেন। শুক্রবার (২৩ আগস্ট) ভোর থেকে বৃষ্টি না হওয়ায় উপজেলার ডুবে যাওয়া নিম্নাঞ্চল থেকে পানি নামতে শুরু করেছে। 

ব্রাহ্মণবাড়িয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মনজুর রহমান বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন।

এছাড়া ভারতে বৃষ্টি না হওয়ায় এবং উজানে ঢলের পানি কমে যাওয়ায় বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে ধলাই নদীর পানি। এছাড়া মনু নদীর পানিও কমতে শুরু করেছে।

শুক্রবার (২৩ আগস্ট) সকাল ৯টার দিকে পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

আকস্মিক বন্যায় হঠাৎ করে তলিয়ে যায় মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া, জুড়ী, কমলগঞ্জ, রাজনগর ও সদর উপজেলার বেশ কয়েকটি ইউনিয়নের অসংখ্য বসতঘর, আঞ্চলিক সড়ক, গ্রামীণ সড়ক ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এতে কমপক্ষে আড়াই লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েন। মনু, ধলাই ও জুড়ী নদীর বিভিন্ন স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। বন্ধ হয়ে গেছে সড়ক যোগাযোগ। চার উপজেলার সঙ্গে জেলা সদরের যোগাযোগ বন্ধ হয়ে পড়ে। সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে পানি, প্লাবিত হয় নতুন নতুন এলাকা। দুর্ভোগে পড়েন কয়েক হাজার মানুষ।

আইএ

Wordbridge School
Link copied!