কুমিল্লা : ভারতের ঢলের পানি ও টানা বৃষ্টি কারণে গোমতী নদীর বাঁধ ভেঙে বুড়িচং উপজেলা ডুবে যাওয়ার পর এবার সেই পানিতে পার্শ্ববর্তী উপজেলা ব্রাহ্মণপাড়া ডুবতে শুরু করেছে। ইতিমধ্যে চারটি ইউনিয়ন বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে।
এমনকি উপজেলা পরিষদ অফিসে পানি ঢুকতে শুরু করেছে, এমনি তথ্য জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার স ম মাজহারুল ইসলাম।
নির্বাহী অফিসার বলেন, বুড়িচং থেকে বিভিন্ন পয়েন্টে প্রবল বেগে পানি ঢুকে চারটি ইউপি প্লাবিত হয়েছে। অল্প সময়ের মধ্যে আমার উপজেলা পরিষদের অফিসেও পানি ঢুকেছে। ইতিমধ্যে উপজেলা শিক্ষা অফিসের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানগুলোতে সমন্বয় করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
তিনি জানান, ‘২৯ টি আশ্রয় কেন্দ্রের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আমাদের ৮টি উদ্ধার করে টিম সহ স্বেচ্ছাসেবীদের নিয়ে উদ্ধার কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি৷ পাশাপাশি ঢাকা থেকে ড্রাম এনে উদ্ধার কাজে সহযোগিতার জন্য ভেলা তৈরি করেছি। স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক, প্রশাসন ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে সমন্বয় করা হচ্ছে। যারা আশ্রয়কেন্দ্রে এসেছেন, তাদের জন্য শুকনো খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। যারা পানিবন্দি অবস্থায় আছেন, তাদের জন্য বিকল্প ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।‘
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) রাতে গোমতী নদীর বাঁধ ভেঙে পার্শ্ববর্তী বুড়িচং উপজেলার বুরবুড়িয়া এলাকায় দিয়ে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করে। রাতেই প্লাবিত হয় পুরো উপজেলা। এতে বন্যার সৃষ্টি হয় উপজলা জুড়ে।
শনিবার (২৪ আগস্ট) থেকে পার্শ্ববর্তী ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলায় বাঁধ ভাঙা পানি ঢুকতে শুরু করে। সেই সঙ্গে ব্রাহ্মণপাড়া এলাকায় ঘুংঘুর নদীর বাঁধ ভেঙেও পানি ঢুকতে থাকে। এখন পর্যন্ত উপজেলার চারটি ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে।
এর মাঝে মালাপাড়া, সাহেবাবাদ, শশীদল, নাইঘর, নোয়াপাড়া, কল্পবাস, ধান্যদৌল, ডগ্রাপাড়া, ব্রাহ্মণপাড়া সদর, নাগাইশ, বড় দুশিয়া ও চান্দলার গ্রামের বাড়িঘরে পানি ঢুকেছে বলে জানা গেছে। এতে প্রায় ৪০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
এ অবস্থায় আশ্রয়কেন্দ্রে না গিয়ে ঘরবাড়ি ছেড়ে উঁচু স্থানে অবস্থান নিয়েছেন এসব মানুষ। ইতিমধ্যে সাড়ে সাত হাজার মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে উঠেছেন।
এমটিআই