ঢাকা: বন্যা-জলবদ্ধতায় নতুন নতুন এলাকা ডুবছে লক্ষ্মীপুরে। গুঁড়ি-গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে সর্বত্র। রোববার (২৫ আগস্ট) সকাল থেকে নতুন করে পানির চাপ বাড়ছে জেলার সর্বত্র।
এর আগে শনিবার নোয়াখালীর পানির চাপ আসা শুরু করে লক্ষ্মীপুরে। এরসঙ্গে যোগ হয় রাতের ভারী বৃষ্টি। এতে লক্ষ্মীপুর শহর, রায়পুর ও রামগঞ্জে সকাল থেকে পানি বাড়তির দিকে।
জানা গেছে, লক্ষ্মীপুর সদর, রামগতি, কমলনগর, রামগঞ্জ ও রায়পুরে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়েছে।
চারদিকে পানি থই থই। অনেক এলাকায় কোমর সমান পানি রয়েছে। ঘর-বাড়ির ভেতরেও পানি। সদরের রহমতখালী খাল, ওয়াপদা খাল, রামগতি, কমলনগরের ভুলুয়া নদী, রামগঞ্জের ওয়াপদা, বিরেন্দ্র খাল, রায়পুরের ডাকাতিয়া নদীসহ বিভিন্ন স্থানে নদী-খাল থেকে আশানুরূপভাবে পানি নামছে না।
দুপুরে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রায়পুরের দেনায়েতপুর, কেরোয়া, চরপাতা, বামনী, সদরের উত্তর ও দক্ষিণ হামছাদী, দালাল বাজার, বশিকপুর, চন্দ্রগঞ্জ, দত্তপাড়া, চরশাহী, ভবানীগঞ্জসহ নতুন-নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। এসবের অধিকাংশ এলাকায় দুইদিন আগে সামান্য জলাবদ্ধতা থাকলেও এখন পানি বাড়ছে।
এর আগে শনিবার জেলা প্রশাসন জানায়, লক্ষ্মীপুর জেলায় ৬ লাখ ৫৭ হাজার মানুষ পানিবন্দি। এজন্য ৩৯৫ মেট্রিক টন চাল ও ১০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া স্থায়ী ও অস্থায়ী ১৮৯টি সাইক্লোন শেল্টারে শুকনো খাবার বিতরণ করা হচ্ছে।
রায়পুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহেদ আরমান বলেন, জলাবদ্ধতা নিরসনে ডাকাতিয়া নদী ও সংযোগ খালের কয়েকটি স্থানে প্রতিবন্ধকতা অপসারণ করা হয়েছে। আমাদের এ অভিযান চলবে।
লক্ষ্মীপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী নাহিদ-উজ জামান খান বলেন, লক্ষ্মীপুরে গতরাতে ৭৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এতে নতুন করে লক্ষ্মীপুর শহরসহ কিছু নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে। এছাড়া নোয়াখালীর পানির চাপ লক্ষ্মীপুরে পড়ছে। নদীর তীরবর্তী এলাকাগুলোর অবস্থা উন্নতির দিকে।
আইএ