ফেনী : ধীরে ধীরে বন্যা কবলিত এলাকার পানি নেমে যাচ্ছে। নিম্নাঞ্চল ছাড়া সবক’টি এলাকা থেকে বন্যার পানি নেমেছে। পানি নামার সঙ্গে ফুটে উঠছে ক্ষয়ক্ষতির চিত্র।
তবে বন্যা কবলিত অনেক এলাকায় খাদ্য, নিরাপদ পানির সংকট ও বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকায় বানভাসি মানুষের ভোগান্তি এখনও কমেনি।
বন্যায় প্লাবিত হওয়া পরশুরাম, ফুলগাজী ও ছাগলনাইয়া উপজেলার কোথাও কোথাও এখনও পানি রয়েছে। সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক না হওয়ায় ট্রলি ও ট্রাকে করে গন্তব্যে পাড়ি দিচ্ছে মানুষ। দাগনভূঞা ওসোনাগাজীতে উপজেলায় বন্যার পানি কমলেও কিছু স্থানে লোকেরা এখনও পানিবন্দি রয়েছেন। এ ছাড়া সোনাগাজী ও ফেনী সদর উপজেলার কিছু এলাকায় হাঁটু পানি আবার কোথাও কোমর পানি রয়েছে।
ফেনী জেলায় বন্যায় সাড়ে ১০ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে দেড় লাখ মানুষকে বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়া হয়েছে। দুর্গম এলাকায় হেলিকপ্টারে করে খাবার পাঠানো হচ্ছে। জেলায় একটি এবং ছয় উপজেলায় ছয়টি মেডিকেল ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছে। এ ছাড়া বেসরকারি সাতটি হাসপাতালে মেডিকেল ক্যাম্প চালু রয়েছে।
এ ছাড়া ডায়াবেটিক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব.) আসাদুলল্লা হিল গালিব জানান, ফেনী ডায়াবেটিক হাসপাতালের আউট ডোরে পাঁচজন ডাক্তার ও জরুরি বিভাগে বিনামূল্যে বন্যা কবলিত মানুষকে চিকিসা সেবা দিচ্ছেন।
এ ছাড়া বিনামূল্যে ১০ শয্যার একটি ডায়রিয়া ওয়ার্ড চালু করা হয়েছে এবং কিছু সিজার অপারেশনের রোগীর চিকিসাসেবা দেওয়া হচ্ছে।
এমটিআই