কুড়িগ্রাম: কোচিং এ ভর্তি হওয়ার জন্য বাবার সাথে মোটরসাইকেল যোগে রংপুরে যাচ্ছিলেন আয়শা আক্তার (১৯)। কোচিং করে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার স্বপ্ন ছিল তার। কিন্তু পথে দ্রুতগতির এক মাইক্রোবাসের চাপায় নিভে যায় আয়শার জীবন প্রদীপ। এতে পিচ ঢাকা সড়কে মিশে যায় আয়শার বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার স্বপ্ন।
আজ বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকালে রংপুরের নব্দীগঞ্জ এলাকায় এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। এই ঘটনায় আয়শার বাবা আনিছুর রহমান গুরুতর আহত হয়েছেন।
আয়শা আক্তার কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নের আজোয়াটারী শিমুলতলা এলাকার পল্লী চিকিৎসক আনিছুর রহমানের একমাত্র মেয়ে। চলতি বছর জেলার নাগেশ্বরী ডিগ্রি কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেন তিনি। পরীক্ষায় ভাল ফলাফল হওয়ার সম্ভাবনা থাকায় কোচিং করে সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার ইচ্ছা ছিল তার।
আয়শার চাচা নজরুল ইসলাম জানান, বুধবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে বাবা আনিছুর রহমানের মোটরসাইকেলে চড়ে বাড়ী থেকে বের হন আয়শা। রংপুর যাওয়ার পথে সকাল সাড়ে দশটার দিকে রংপুর- কুড়িগ্রাম সড়কের নব্দীগঞ্জ এলাকায় একটি মাইক্রোবাস তাদের মোটরসাইকেলটিকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই আয়শার মৃত্যু হয়। এ সময় গুরুতর আহত হন তারা বাবা আনিছুর রহমান। পরে স্থানীয়রা আহত আনিছুরকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।
এদিকে সড়ক দুর্ঘটনায় আয়শার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে তার পরিবারসহ গোটা এলাকায় নেমে আসে শোকের ছায়া।
এ প্রসঙ্গে ফুলবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) নাজমুস সাকিব সজিব জানান, রংপুর যাওয়ার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় ফুলবাড়ী উপজেলার এক শিক্ষার্থীর মৃত্যুর খবর শুনেছি। তবে এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট থানা থেকে বেতার বার্তা এখনও আসেনি।
এসএস
আপনার মতামত লিখুন :