চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামের চলন্ত বাসে এক নারীকে (১৯) সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে এর চালক ও তার সহকারীর (হেলপার) বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় নির্যাতনের শিকার ওই নারীর স্বামী বাদী হয়ে কর্ণফুলী থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
এদিকে মামলা দায়েরের পর মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) অভিযুক্ত বাসের চালক আজাদ খান (২৩) ও তার সহকারী সাহেদুল ইসলাম (১৯) কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার তাদের আদালতে হাজির করে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি আদায়ের পর চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
নির্যাতনের শিকার ওই নারীর স্বামী পেশায় একজন পোশাকশ্রমিক। দুই মাস আগে ভালোবেসে বিয়ে করেন তারা।
চট্টগ্রাম নগর পুলিশের উপকমিশনার (বন্দর) শাকিলা সুলতানা গণমাধ্যমকে বলেন, গত ৬ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ৯টার দিকে জেলার পটিয়া মনসা বাসস্ট্যান্ড থেকে নগরের বাকলিয়া তুলাতলী এলাকায় স্বামীর বাসায় ফেরার জন্য একটি বাসে ওঠেন ওই নারী। তাঁকে বহনকারী বাসটি নগরের কর্ণফুলী থানার চারপাথরঘাটা শাহ আমানত সেতু টোল প্লাজার কাছে পৌঁছালে চালক ও তাঁর সহকারী ওই নারীকে ধর্ষণ করেন। ওই সময় বাসে ওই নারী একা ছিলেন। একা পেয়ে বাসের পেছনের আসনে নিয়ে তাঁকে ধর্ষণ করা হয়। ঘটনার সময় বাসটিকে বিভিন্ন রুটে চালক ও তাঁর সহকারী ঘোরান। পরে রাত সাড়ে ১১টার দিকে ওই নারীকে পটিয়া শান্তিরহাট এলাকায় নামিয়ে দেওয়া হয়। পটিয়ায় এক আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলেন ঘটনার শিকার নারী।
তিনি আরও বলেন, ঘটনার পর নির্যাতিতার স্বামী থানায় মামলা দায়েল করলে বাসের চালক ও তার সহকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাঁরা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
কর্ণফুলী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মেহেদী হাসান বলেন, ঘটনার তিন দিন পর ১০ সেপ্টেম্বর (মঙ্গলবার) ওই নারীর স্বামী বাদী হয়ে কর্ণফুলী থানায় মামলা করেন। এতে বাসের চালক ও তাঁর সহকারীকে আসামি করা হয়। পরে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এসএস