রাঙ্গামাটি: সুস্বাদু ফলের মধ্যে অন্যতম মাল্টা। ভিটামিন সি সমৃদ্ধ এই ফলটির জন্য পার্বত্য এলাকা আবহাওয়া ও জলবায়ু অনুকূলের ফলে দিনে দিনে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এর চাষ। মাল্টার বাণিজ্যিক চাষে ভাগ্য বদলেছে পাহাড়ের অনেক কৃষকের।
মিষ্টি জাতের বারি মাল্টায় বাজার ভরে উঠায় এবার বিদেশি মাল্টা জায়গা নিয়েছে বাজারগুলোতে।সুস্বাদু ফল মাল্টা কমলার একটি উন্নত জাত, পাহাড়ে বাণিজ্যিক পর্যায়ে মাল্টার চাষাবাদ ঢের বেড়েছে আগের তুলনায়। রাঙ্গামাটি নানিয়ারচর উপজেলায় মাল্টার চাষাবাদ করছেন সাধারণ কৃষকরা।
অনেকের বাড়ির আঙ্গিনায়ও হচ্ছে মাল্টার চাষ। বাণিজ্যিকভাবে মাল্টা চাষ করে দেখেছেন লাভের মুখ। নানিয়ারচর ঘিলাছড়ি ভূইঁয়াদম এলাকার ত্রিজীবন চাকমা কৃষকের মাল্টা ফলের বাগান করে ভাগ্যের চাকা ঘুরিয়েছেন। শুধু তা নয় বিভিন্ন এলাকা থেকে ক্রেতারা আসেন মাল্টা কিনতে।
মাল্টা চাষী ত্রিজীবন চাকমা বলেন, আমার বাড়ির পাশের ৪০ শতক জায়গায় ২০০টি মাল্টা চারা লাগিয়েছি। ইতোমধ্যে এ বছর মাল্টা বিক্রি করে এক লাখ বিশ হাজার টাকার মত আয় করেছি। কিছু মাল্টা ঝরে যাচ্ছে, তবে সেটা কি কারণে হচ্ছে বুজতে পারছি না। কর্তৃপক্ষ যদি সুপরামর্শ দেন ভালো হত।
স্থানীয় বারি মাল্টা-১ বেশ সুস্বাদু। ক্রেতারা এর বেশ প্রশংসা করে। যেহেতু কোন ধরনের কীটনাশক ব্যবহার হয় না তাই সকলেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধে ক্রয় করছেন।
রাঙ্গামাটি নানিয়ারচর কৃষি কর্মকর্তা তপু আহমেদ বলেন, আমরা চাষীদের সাথে যোগাযোগ রাখছি। তাদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান করছি। মাল্টা চাষ করে অধিকাংশ কৃষকের ভাগ্য বদলেছে।
মাল্টা একটি লাভজনক ফসল হওয়ায় নানিয়ারচরের কৃষকরা বর্তমানে প্রচুর পরিমাণে মাল্টা চাষ করছেন। এ বছর প্রায় ২০০ হেক্টর জমিতে মাল্টার বাণিজ্যিক বাগান গড়ে উঠেছে। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ২০০০ মেট্রিক টন। বাজারজাত সুবিধা বাড়ানো গেলে পাহাড়ে মাল্টা চাষের মাধ্যমে আরও কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে বলে আশাবাদী তিনি।
এসএস