বরগুনা: ৬৫ দিনের মাছ শিকারের অবরোধের পর থেকে একের পর এক নিম্নচাপের কারনে সাগর থেকে খালি হাতে ফিরতে হয়েছে জেলেদের। সাগর উত্তল থাকায় ৩ নম্বর সতর্ক সংকেতের কারনে আবারো সাগরে মাছ শিকার করতে গিয়ে ফিরে এসেছেন জেলেরা। একদিকে সাগরে নিম্নচাপ, অন্যদিকে সমুদ্র থেকে খালি হাতে ফিরে আসায় লোকসানের চিন্তা মাথায় নিয়ে দিন কাটাচ্ছেন মৎস্য আড়তদার, জেলে এবং ট্রলার মালিক। শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে গিয়ে দেখা গেছে হাজারো জেলে নিরবে বসে বসে অলস সময় কাটাচ্ছে।
ট্রলার মালিক ছগির বলেন, নিম্নচাপের কারনে সাগরে গিয়ে মাছ ধরতে না পেরে খালি হাতে ফিরতে হয়েছে জেলেদের। ৫ লাখ টাকার বাজার নিয়ে সাগরে গিয়ে ৩ দিন পরে চলে আসতে হয়েছে জেলেদের। এখানে আমার অনেক টাকা লোকসান হয়েছে।
মাঝি কবির বলেন, ট্রলার মালিকের লোকসান কথা চিন্তা করে সমুদ্রে থাকতে চেয়েছিলেন। নিম্নচাপের অতিরিক্ত সাগর উত্তাল হওয়ায় ট্রলার মালিকের জাল-দড়ির কথা ভেবে আবার ট্রলার নিয়ে সাগর থেকে তীরে ফিরেছেন। আবহাওয়া মাছ শিকারের জন্য জেলেদের অনুকূলে যতদিন না আসবে ততদিন উপকূলেই থাকতে তারা। একের পর এক এরকম চলতে থাকলে ট্রলার মালিক এবং জেলেরা নিঃস্ব হয়ে পরবে।
বরগুনা জেলা মৎস্যজীবি ট্রলার মালিক সমিতির সহ-সভাপতি মো. আবুল হোসেন ফরাজী বলেন, সম্প্রতি ৬৫ দিনের মৎস্য অবরোধ শেষেই সাগরে শুরু হয়েছে নিম্নচাপ। আর এর কারণে সাগর থেকে ট্রলার নিয়ে জেলেদের ঘাটে ফিরছে প্রায় কয়েক শতাধিক জেলে। ফিরে আসা এই ট্রলারগুলোর প্রত্যেকটিতে কয়েক লাখ টাকার বাজার করে সাগরে পাঠাতে হয়। এই নিন্মচাপে আমারও একটি ট্রলার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সব মিলিয়ে বড় রকমের ক্ষতির মধ্যে পড়ে ট্রলার মালিকরা ঋনগ্রস্ত হয়ে পড়েছে।
পাথরঘাটা উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা জয়ন্ত কুমার অপু বলেন, আমরা জানতে পেরেছি নিম্নচাপের কারণে সমুদ্রে তিন নম্বর সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে। তাই উপকূলে জেলেদের নিরাপদে থাকতে বলা হয়েছে। তাছাড়া অবরোধ শেষ হওয়ার পরে সাগরে জেলেদের জালে প্রচুর পরিমাণ ইলিশ ধরা পরবে বলে ধারনা করেছি। এবছর পাকৃতিক দুর্যোগের ফলে লোকসান গুনছে ট্রলার মালিক ও জেলেরা। জেলেদের সর্বাধিক সহযোগিতা ও সার্বিক বিষয়ে খোঁজ রাখা হচ্ছে মৎস্য বিভাগের পক্ষ থেকে।
এসএস