• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১

‘এক পোয়া বিক্রি করেনা দোকানদার, আমরা কি তাহলে মরিচ খাবো না?’


রংপুর প্রতিনিধি সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২৪, ০৮:৩১ পিএম
‘এক পোয়া বিক্রি করেনা দোকানদার, আমরা কি তাহলে মরিচ খাবো না?’

রংপুর: চাহিদা আছে, তারপরও দামের ঊর্ধ্বগতি। বলছিলাম প্রতিদিনের নিত্য খাদ্য সামগ্রীর অন্যতম কাঁচামরিচের কথা। প্রতিদিনের খাবারে মরিচের চাহিদা থাকার পরও সারাদেশের বাজারগুলোতে মরিচ বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে। এতে মরিচ কিনতে হিমশিম খেতে হয় নিম্নবিত্ত থেকে শুরু করে মধ্যবিত্ত মানুষদের। ভোগান্তির মাত্রা বৃদ্ধি পায়, যখন খুচরা ব্যবসায়ীরা অল্প পরিমাণে মরিচ বিক্রি করতে রাজি না হয়। এতে ক্রেতাদের ভোগান্তিতে যোগ হয় নতুন মাত্রা।

শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রংপুর নগরীর সিটি বাজার ঘুরে দেখা যায়, পাইকারী ভাবে কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকায়, অপরদিকে খুচরা বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২২০ টাকায়।

সেই বাজারে কথা হয় ষাটোর্ধ্ব আমজাদ হোসেন নামের এক ক্রেতার সাথে। এই প্রতিবেদককে তিনি বলেন, ‘আমার সামর্থ্য নেই এককেজি- আধাকেজি মরিচ কেনার। আমি এক পোয়া নিবো, কিন্তু দোকানি আমাকে এক পোয়া মরিচ দিবে না। এখন আমি কি তাহলে মরিচ কিনতে পারবো না, খেতে পারবো না?’

শুধু আমজাদ হোসেনই নয়, তার মতো একই অভিযোগ করেন আরও অনেক ক্রেতা। বাজার করতে আসা একাধিক ক্রেতাদের অভিযোগ, কোন কারন ছাড়াই ইচ্ছেমতো মরিচের দাম বৃদ্ধি করা হয়। সেইসাথে আধা কেজির নিচে মরিচ বিক্রি করেন না বিক্রেতারা।

ক্রেতাদের এমন অভিযোগের দায় স্বীকার করে এক পাইকারি বিক্রেতা বলেন, ‘আমরা পাইকারি বিক্রেতা, আমরা তো কেজির নিচে বেচতে পারিনা। কিন্তু খুচরা বিক্রেতারা কি করছে সেটা তো জানিনা। আর আমদানি ঠিকমতো না হওয়ার কারনে দাম বাড়তি। ভারত থেকে একদিন মরিচ না ঢুকলে দাম দশ বিশ টাকা বেড়ে যায়। এখানে আমাদের কি করার আছে।’

গত কিছুদিন ধরেই কাঁচা মরিচ ২০০ টাকা থেকে তার উপরে বিক্রি হচ্ছে। যার কারনে নিম্ন আয়ের মানুষেরা এখন কাঁচা মরিচ কিনতে পারছেনা। দ্রুত বাজার নিয়ন্ত্রণ করে নিত্যপ্রয়োজনীয় সবজিগুলোর দাম কমানোর দাবীও জানান ক্রেতারা।

এসএস

Wordbridge School
Link copied!