• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

গোপালগঞ্জে বিএনপির গাড়িবহরে হামলা, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা নিহত


গোপালগঞ্জ সংবাদদাতা সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২৪, ১২:৩৫ এএম
গোপালগঞ্জে বিএনপির গাড়িবহরে হামলা, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা নিহত

গোপালগঞ্জ: গোপালগঞ্জে বিএনপির নেতা-কর্মীদের গাড়িবহরে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের ক্রীড়া সম্পাদক শওকত হোসেন দিদার (৪৮) নিহত হয়েছেন।

আজ শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার ঘোনাপাড়া মোড়ে ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনার জেরে বন্ধ হয়ে যায় ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে যান চলাচল। পরে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

হামলায় কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী, তাঁর স্ত্রী গোপালগঞ্জ জেলা মহিলা দলের সভাপতি রওশন আরা রত্না, তাঁদের সন্তানসহ বিএনপির কমপক্ষে ২০ নেতা-কর্মীকে বেধড়ক মারধর ও কুপিয়ে আহত করেছে হামলাকারীরা। ভাঙচুর করা হয়েছে ১০টি মাইক্রোবাস ও ব্যক্তিগত গাড়ি। এ ছাড়া সময় টিভির ক্যামেরাপারসন এইচ এম মানিককে মারধর করে মোবাইল ফোন কেড়ে নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শরীফ রফিক উজ জামান বলেন, বেলা ৩টায় গোপালগঞ্জ শহরের বেদগ্রামে পথসভা শেষে কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতা-কর্মীদের গাড়িবহর নিয়ে টুঙ্গিপাড়া জনসভায় যাচ্ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিমুজ্জামান সেলিম ও কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী। গাড়িবহরটি ঘোনাপাড়া এলাকায় পৌঁছালে আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের সশস্ত্র নেতা-কর্মীরা হামলা-ভাঙচুর চালান।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র বলেছে, হামলার পর বিএনপির নেতা-কর্মীরা গাড়ি থেকে নেমে রাস্তার পাশের গাছ থেকে ডালপালা ভেঙে নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের ধাওয়া দেয়। কিছুক্ষণ পর আওয়ামী লীগের কর্মী-সমর্থকেরা মাইকে ঘোষণা দিয়ে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আবারও হামলা চালিয়ে পিটিয়ে ও কুপিয়ে অন্তত ২০ জনকে আহত করে।

আহত ব্যক্তিদের মধ্যে ১০ জনকে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সন্ধ্যা ৬টার দিকে গুরুতর আহত এস এম জিলানীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়।

গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনিচুর রহমান বলেন, সংঘর্ষের ঘটনায় কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের ক্রীড়া সম্পাদক শওকত হোসেন দিদার নিহত হয়েছেন। গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার চরপাথালিয়া এলাকা থেকে মৃত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

ওসি আরও জানান, ঘোনাপাড়ায় মারামারির ঘটনায় কেউ কেউ বলছে, বিএনপি করেছে। কেউ বলছে, আওয়ামী লীগ করেছে। এখন পরিস্থিতি শান্ত এবং যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। এ ঘটনায় কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি।

এসএস

Wordbridge School
Link copied!