রাঙ্গামাটি: সুস্বাদু ও মিষ্টি জাতীয় একটি খাবার হচ্ছে আখ। সুস্বাদু এ খাবারটি দেশের সব জেলার পাশাপাশি পাহাড়ের মানুষের কাছে খুব জনপ্রিয়। আখ চাষাবাদের উপযোগী মাটি এবং পরিবেশ হওয়ায় রাঙ্গামাটির নানিয়ারচর উপজেলার বুড়িঘাট ও ঘিলাছড়ি, সাবেক্ষন ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে আখ চাষ হচ্ছে যা চোখে পড়ার মতো। অন্যান্য ফসলের তুলনায় কয়েকগুণ বেশি লাভবান হওয়ায় আখ চাষ করেছেন এই এলাকার কৃষকরা।
এখানকার আখ এ অঞ্চলের চাহিদা পূরণের পাশাপাশি অন্যান্য জেলায়ও সরবরাহ হচ্ছে। আখ চাষ দীর্ঘ এক বছর মেয়াদি একটি ফসল। বর্তমান মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় নানিয়ারচর উপজেলায় আখের বাম্পার ফলন হয়েছে।
ভালো ফলন এবং বাজারে ভালো দর থাকায় চাষিদের মুখে ফুটে উঠেছে সোনালী হাসি। আখ চাষে বাড়ছে কৃষকদের আগ্রহ। সরেজমিনে ঘিলাছড়ি, পুকুরছড়ি, ভূইয়াদম, বুড়িঘাট, বগাছড়ি, রামহরিপাড়ায় আখ চাষ হচ্ছে।
রামহরিপাড়া গ্রামের নীতিবিন্দু চাকমা জানান, এই এলাকার আখের বেশ খ্যাতি রয়েছে। আমি নতুন চাষাবাদ করছি। শুনেছি অন্যান্য ফসলের তুলনায় বেশি লাভবান হওয়া যায়। তুলনামূলক কম খরচ ও শ্রমের পাশাপশি অনুকূল আবহাওয়া এবং মাটির গুণাগুণের কারণে আখের আশানুরূপ ফলন হচ্ছে। তাছাড়া বাজারে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। ফলে আখ বাণিজ্যিকভাবে চাষ করে এলাকার অনেক কৃষকরা স্বাবলম্বী হচ্ছেন।
৫০ শতক জমিতে আখ চাষ করেছেন নীতিবিন্দু চাকমা। গত ফাল্গুন মাসে ৫ হাজার চারা রোপণ করেন তিনি। বছর মেয়াদি এই ফসল কাটার উপযোগী হচ্ছে। কিছু দিন পরেই আখ কাটবেন। কোনো ধরনের ক্ষতি না হওয়ায় অত্যন্ত ভালো ফলন হয়েছে। যা ধান চাষের তুলনায় পাঁচগুণ লাভবান হওয়া যায়। আখ চাষে ঝড়-তুফান ছাড়া খুব একটা ক্ষতি হয় না। সার ও কীটনাশকও তেমন ব্যবহার হয় না। শুধু পর্যাপ্ত সেচের প্রয়োজন হয়। স্বল্প পরিশ্রম ও কম খরচে আখ চাষে বেশি লাভবান হওয়া যায়।
রাঙ্গামাটি নানিয়ারচর উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ তপু আহমেদ জানান, এ উপজেলায় ২০ হেক্টর জমিতে আখ চাষ হয়েছে। এরমধ্যে ঘিলাছড়ি, বুড়িঘাট, সাবেক্ষন ইউনিয়নের কৃষকরা আখ চাষ করেছেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আশানুরূপ ফলন হয়েছে।
এসএস
আপনার মতামত লিখুন :