ময়মনসিংহ: ময়মনসিংহের নান্দাইলের চপই দাখিল মাদ্রাসার ইংরেজি শিক্ষক মো. আব্দুল গাফফার যোগদানের পর থেকে অনুপস্থিত থেকেও ১১ মাসের বেতন-ভাতা উত্তোলন করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
তবে মাদ্রাসার সুপার হারুন অর রশীদ ও ম্যানেজিং কমিটির সদ্য সাবেক সভাপতি আব্দুর রহিমের সহায়তায় হাজিরা খাতায় অভিযুক্ত শিক্ষকের স্বাক্ষর জালিয়াাতির (একদিনে সব হাজিরার স্বাক্ষর) মাধ্যমে বেতন-ভাতা উত্তোলন করা হয়।
এতে সরকারের মোট এক লাখ ১৯ হাজার ৮২০ টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে বলে অভিভাবক মহলে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে, শিক্ষক আব্দুল গাফফার ২০২৩ সালের ২৫ অক্টোবরে এ মাদ্রাসায় যোগদান করেন। যোগদানের পর থেকে তিনি অনুপস্থিত থাকলেও হাজিরা খাতা ও বেতন বিলের শিটে নিয়মিত স্বাক্ষর করে ব্যাংক থেকে প্রতি মাসে ১৭ হাজার ৬২০ টাকা করে বেতন উত্তোলন করেছেন।
বিষয়টি জানাজানি হলে অভিযুক্ত শিক্ষক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দপ্তরে গিয়ে অপরাধ ঢাকতে পদত্যাগপত্র জমা দেন।
তবে অভিযুক্ত শিক্ষক আব্দুল গাফফারকে একাধিকবার ফোন করেও তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
মাদ্রাসার সুপার হারুন অর রশিদ বলেন, শিক্ষক গাফফার একবার এসেছেন, সেটা সঠিক নয়। মাঝেমধ্যে এসে স্বাক্ষর করে গেছেন।
তাহলে মাস শেষে বেতন উত্তোলন করলেন কীভাবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা মাদ্রাসার অভ্যন্তরীণ বিষয়।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে শিগগিরই তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে।
নান্দাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অরুণ কৃষ্ণ পাল জানান, এ বিষয়ে অভিযোগ জানার পর মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে পাঠানো হয়েছিল। তবে এক দিন পর ওই শিক্ষক পদত্যাগপত্র জমা দেন। এত দিন কিভাবে ওই শিক্ষকের বেতন-ভাতা উত্তোলিত হয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হবে।
এসআই