• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

ফরিদপুরে প্রতিমা ভাঙচুর, ভারতীয় নাগরিক গ্রেপ্তার


ফরিদপুর প্রতিনিধি সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২৪, ০৭:৫২ পিএম
ফরিদপুরে প্রতিমা ভাঙচুর, ভারতীয় নাগরিক গ্রেপ্তার

ফরিদপুর: ফরিদপুরের ভাঙ্গা বাজারের হরি মন্দির ও কালি মন্দিরে নির্মিতব্য প্রতিমা ভাঙচুরের অভিযোগে সন্দেহভাজন হিসেবে সঞ্জিত বিশ্বাস (৪৫) নামে ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। দাবি করা হচ্ছে তিনি ভারতীয় নাগরিক।

সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ফরিদপুর জেলা পুলিশের দেওয়া এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ওই ভারতীয় নাগরিককে গ্রেপ্তারের বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করা হয়।  

গ্রেপ্তার হওয়া সঞ্জিত বিশ্বাস ভারতের নদীয়ার নিশি কান্ত বিশ্বাসের ছেলে বলে জানিয়েছে পুলিশ।  

পুলিশের দেওয়া প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাতে ফরিদপুরের ভাঙ্গা বাজারস্থ হরি মন্দির ও কালি মন্দিরে নির্মিতব্য প্রতিমা কে বা কারা ভাঙচুর করেছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে গত রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকালে পুলিশ তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। পরে পুলিশ সুপার মো. আব্দুল জলিল ঘটনাস্থল সরেজমিনে পরিদর্শন করেন। এ সময় দেখেন হরি মন্দিরের কার্তিক ঠাকুরের হাতের আঙুল, ময়ূরের গলা মোঁচড়ানো, ঘোড়ার কান ও আঙুল, অসুরের হাতের আঙুল এবং কালি মন্দিরের গণেশের হাতের আঙুল ও শুঁড় ভাঙা হয়েছে। তখন ঘটনাস্থলে উপস্থিত সনাতন ধর্মাবলম্বী নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে পুলিশ সুপার প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেন।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ঘটনার বিষয়ে তদন্তকালে কালি মন্দিরের সামনে পরিত্যক্ত খাটের ওপর শয়নরত অবস্থায় একজন ও খাটের পাশে মাটিতে আরেকজন ব্যক্তিকে দেখতে পান। জিজ্ঞাসাবাদে একজনকে (বৃদ্ধ ব্যক্তি) স্থানীয়রা পরিচিত বলে শনাক্ত করেন। অপর ব্যক্তিকে নাম-পরিচয় জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি নাম-পরিচয় না জানালে তার ওপর সন্দেহ হওয়ায় তাকে থানায় এনে নিবিড় জিজ্ঞাসাবাদকালে একবার বাংলা ও একবার হিন্দি ভাষায় কথা বলেন। পরে তার নাম সঞ্জিত বিশ্বাস (৪৫), বাবা নিশি কান্ত বিশ্বাস, সাং নদীয়া ও ভারতীয় নাগরিক বলে জানায়।  
এ ব্যাপারে ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) শৈলেন চাকমা (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) সাংবাদিকদের বলেন, গ্রেপ্তারকৃত সঞ্জিত বিশ্বাসের নামে ভাঙ্গা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। পরে তাকে ১৫১ ধারা মোতাবেক বিজ্ঞ আদালতে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।

আইএ

Wordbridge School
Link copied!