• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১

তাড়াশ পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে ৮ কোটি টাকার দরপত্রে অনিয়মের অভিযোগ


সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২৪, ০৭:০৩ পিএম
তাড়াশ পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে ৮ কোটি টাকার দরপত্রে অনিয়মের অভিযোগ

সিরাজগঞ্জ: সিরাজগঞ্জের তাড়াশ পৌরসভার আট কোটি ৪৭ লাখ টাকার ইজিপি দরপত্র নিয়ে বিতর্ক দেখা দিয়েছে। এদিকে সুকৌশলে দরপত্র আহবান করে তার পছন্দের ঠিকাদারদের কাজ পাইয়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) মো. মুকুল হোসেনের বিরুদ্ধে।

স্থানীয় ঠিকাদারদের অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০২৩ সালের ১৭ জুলাই নব গঠিত তাড়াশ পৌরসভা নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে প্রথম মেয়র নির্বাচিত হোন মো: আব্দুর রাজ্জাক।

গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনের উপজেলা ও পৌরসভার মেয়রের পদ বাতিল করে প্রশাসক নিয়োগ দেয়া হয়।

এ সুযোগে পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) মো. মুকুল হোসেন স্বল্প পরিচিত পত্রিকায় পৌরসভার বিভিন্ন রাস্তা ও ড্রেন নিমার্ণের জন্য আট কোটি ৪৭ লাখ টাকার দরপত্র আহবান করেন।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের বৃহত্তর পাবনা-বগুড়া প্রকল্পের আওতায় ওই দরপত্রে পাঁচটি প্যাকেজে ১৮ সেপ্টেম্বর ইজিপিতে দরপত্র দাখিলের শেষ সময় নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু ওই দরপত্রে আট কোটি ৪৭ লাখ টাকা উল্লেখ করা হলেও কোন প্যাকেজে কত টাকা তা উল্লেখ করেননি।

একটি অসমর্থিত সূত্র জানায়, প্যাকেজ প্রতি প্রাক্কলিত ব্যায়ের টাকার পরিমাণ উল্লেখিত না করায় এখানেই রয়েছে শুভংকরের ফাঁকি। অর্থাৎ টাকার পরিমান সহকারী প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) মো. মুকুল হোসেন যে ঠিকাদার কে জানাবেন, তিনিই ১০% লেসে কাজটি পাবেন। এ নিয়ে তিনি যথারীতি ঠিকাদারও বাছাই করেছেন। এবং কোনো কোনো ঠিকাদারের সাথে আর্থিক সুবিধা নেয়ারও অভিযোগ রয়েছে।

তাড়াশ পৌর বিএনপির সদস্য সচিব ও প্রথম শ্রেণির ঠিকাদার মো. আব্দুল বারিক খন্দকার বলেন, মূলত: সহকারী প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) মো: মুকুল হোসেন তার স্বার্থ চরিতার্থ করতে এ ধরনের দরপত্র তৈরি করে আহবান করেছেন। যাতে স্থানীয় ঠিকাদাররা অংশ গ্রহণ করতে না পারেন। আমরা এ দরপত্র বাতিল চাই।

তবে অভিযোগের বিষয়টি অস্বীকার করে তাড়াশ পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) মো: মুকুল হোসেন বলেন, যথাযথ নিয়ম মেনেই দরপত্র আহবান করা হয়েছে। এতে কোথাও কোনো অনিয়ম করা হয়নি।

এ প্রসঙ্গে তাড়াশ পৌর প্রশাসক ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. খালিদ হাসান জানান, দরপত্রের সকল দায়ভার প্রকল্প পরিচালকের। আমার কাজটি মূলত তদারকি করা।

এসএস

Wordbridge School
Link copied!