লালমনিরহাট: অবশেষে তিস্তা নদীতে ভেসে আসা সেই অজ্ঞাত তরুণীর পরিচয় খুঁজে পেয়েছে পুলিশ। মেয়েটির নাম জোছনা আক্তার (১৭)। সে নীলফামারী জেলার ডিমলা উপজেলার টেপাখড়িবাড়ি ইউনিয়নের পূর্বখড়িবাড়ি গ্রামের জহর আলীর মেয়ে। নিহত জোছনা স্থানীয় এক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেনীর শিক্ষার্থী ছিলো।
জোছনার পরিবার লোকজন জানায়, মাত্র ১৯দিন আগে নীলফামারী জেলার ডিমলা উপজেলার চাপানি গ্রামের জাহিদ হোসেনের সাথে জোছনার বিয়ে হয়। গত বুধবার আপন চাচাতো বোনের বিয়ে খেতে স্বামীর বাড়ি থেকে বাবার বাড়িতে আসে জোছনা। এরপর গত শুক্রবার আসরের নামাজের পর থেকে সে নিখোঁজ ছিলো। এসময় পরিবারের লোকজন অনেক খোঁজাখুঁজি করলে তাকে আর পাওয়া যায়নি। তবে পরিবারের ধারণা, সে হয়তো তার সাবেক প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে যেতে পারে।
এ বিষয়ে আদিতমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদ উন নবী বলেন, অজ্ঞাত ওই তরুণীর পরিচয় শনাক্ত হয়েছে। তার নাম জোছনা আক্তার। তার বাড়ি নীলফামারী জেলায়। এ ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে আদিতমারী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। মরদেহটি ময়নাতদন্তের পর তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
উল্লেখ্য, গত রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার মহিষখোঁচা ইউনিয়নের কুটিরপাড় বালুরবাঁধের তিস্তা নদীর চরে হাত বাঁধা এক অজ্ঞাত তরুণীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। পুলিশের ধারনা, নদীর স্রোতে ওই মরদেহটি ভেসে আসতে পারে। মরদেহটির দু’হাত ওরনা দিয়ে পিছনে দিকে বাঁধা ছিল এবং তার পুরো মুখমন্ডল ঝলসানো ছিল। দীর্ঘসময় লাশটি পানিতে থাকায় মুখের আকারও পরিবর্তন হয়ে গেছে। তবে তার দুই হাতে মেহেদী দিয়ে রাঙ্গানো ছিল। আর ডান হাতে ইংরেজিতে ‘আই লাভ ইউ’ লেখা ছিলো।
এসএস