বরগুনা: বন্ধুর স্ত্রীর সঙ্গে পরকিয়া প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ের প্রতিশ্রতি দিয়ে ধর্ষণ করার অভিযোগ এনে বরগুনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনালে মামলা করেছে ভুক্তভোগী নারী। বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সংশ্লিষ্ট বিচারক সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. মশিউর রহমান খান মামলাটি গ্রহণ করে। পরবর্তীতে তিনি মামলাটি বরগুনা থানার অফিসার ইনচার্জকে এজাহার রুজু করার নির্দেশ দিয়েছেন।
ধর্ষণ মামলার আসামী হলো, বরগুনা পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের পুলিশ লাইন্স সড়কের মো.আসাদুজ্জামান রিয়াজ।
ভুক্তভোগী নারী ও মামলার বাদী তার মামলার নালিশীতে অভিযোগ করেন, আসামি রিয়াজ তার স্বামীর বন্ধু। সেই সুবাদে আসামির সঙ্গে বাদীর পরিচয়। বিভিন্ন সময় বাদীকে ভালো ভালো উপহার দিতেন। একপর্যায়ে প্রেমের প্রস্তাব দিলে প্রথম দিকে রাজি না হলেও এক পর্যায়ে আসামি রিয়াজের প্রতি দুর্বল হয়ে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে তারা। এক পর্যায়ে বাদীকে বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দেয় আসামি রিয়াজ।
বাদী বলেন, আমি রিয়াজের কথামত আমার স্বামীকে চলতি বছরের ১৪ জানুয়ারি তালাক দেই। স্বামীকে তালাক দেওয়ার পরে রিয়াজ আমাকে বরগুনা পৌরসভার আমতলা পাড় সড়কে একটি বাসা ভাড়া করে দেয়। সর্বশেষ গত ১৩ সেপ্টেম্বর নিত্যদিনের মতো রিয়াজ ভাড়া বাসায় আসে। আমার সঙ্গে রিয়াজ শারীরিক সম্পর্ক করতে চাইলে আমি রিয়াজকে বলি কাজি ডেকে এনে আগে বিয়ে কর। তারপর যা ইচ্ছে তাই করবে। রিয়াজ বলে এখন বিয়ে করা তার পক্ষে সম্ভব নয়। এক পর্যায় কৌশলে তাকে রিয়াজ ধর্ষণ করে চলে যায়। রিয়াজ যাওয়ার সময় আমাকে বলে যায় তাকে আর বিয়ে করবে না। এ বিষয় নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে আমাকে ধর্ষণ করার গোপন ছবি ইন্টারনেটে ছেড়ে দেয়ার হুমকি প্রদান করে।
এবিষয়ে অফিসার ইনচার্জ দেওয়ান জগলুল হাসান জানান আদালত থেকে কাগজ আসলে বিধি মোতাবেক ব্যবস্হা করা হবে।
এম/এসআই