নোয়াখালী: নোয়াখালী সদর উপজেলায় স্থানীয়দের গণপিটুনিতে মো. আবদুস শহিদ (৪৩) নামের ইউনিয়ন যুবলীগের এক নেতার মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) রাতে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। গণপিটুনির এই ঘটনায় আহত হয়ে আরও তিনজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এর আগে শনিবার দুপুরে উপজেলার পূর্ব চর মটুয়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। পরে বিকেলে পিটুনির শিকার ব্যক্তিদের গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে যৌথ বাহিনী।
নিহত মো. আবদুস শহিদ ওই গ্রামের মমিন উল্যাহ মুন্সির ছেলে। গণপিটুনিতে আহত অন্যরা হলেন- মো. জামাল হোসেন (৪৩), মো. জাবেদ (২৮) ও মো. রিয়াদ হোসেন (২৮)।
শহিদ পূর্ব চরমটুয়া ইউনিয়ন যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ছিলেন বলে জানিয়েছেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল আলম।
এদিকে শহিদকে পিটুনির একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এক মিনিট ৮ সেকেন্ডের ওই ভিডিওটিতে দেখা যায় হাত বাধা শহিদ ঘরের মেঝেতে পড়ে আছেন। এ অবস্থায় তাকে পিটুনি দিচ্ছে কয়েকজন যুবক। এ সময় তারা সহিদকে লাঠি দিয়ে মারতে থাকে এবং কেউ কেউ মাথায়, মুখে ও বুকে লাথিও দেয়।
স্থানীয়দের বরাতে সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক জানান, দুপুর আড়াইটার দিকে কিছু লোক ওই গ্রামের ইসমাইল মুহুরী বাড়ি ঘেরাও করে। সেখানে শহিদসহ চারজনকে আটক করে একটি শটগান উদ্ধার করা হয়। পরে তাদের গণপিটুনি দিলে চারজনই গুরুতর আহত হন।
খবর পেয়ে সেনাবাহিনীর ১৬ রেজিমেন্ট আর্টিলারি ক্যাপ্টেন ইফতেখার আহমেদের নেতৃত্বে সেনাবাহিনী ও পুলিশ যৌথ অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে চারজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার এবং একটি শটগান জব্দ করা হয়।
ওসি আরও বলেন, উদ্ধারের পর তাদের ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে যৌথ বাহিনী। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ৮টার দিকে শহিদ মারা যান। অন্য তিনজন একই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
শহিদকে ‘থানা-পুলিশের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী’ হিসেবে উল্লেখ করে ওসি আরও বলেন, তার বিরুদ্ধে থানায় ডাকাতি, অস্ত্র মামলাসহ আটটি মামলা আছে।
এসএস