ভোলা: ভোলা সদর উপজেলার ইলিশা বাজার থেকে রোদ্রের হাট পর্যন্ত সড়কটির কয়েক জায়গায় বিশাল অংশ ভেঙ্গে পাশের খালে পড়েছে। এতে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে সাধারণ পথচারী ও যানবাহন। অতী দ্রুত সংস্কার করা না হলে যে কোন মুহূর্তে বড় ধরণের দূর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
সরেজমিন ইলিশা বাজার থেকে রাস্তার মাথা বাজার, রোদ্রের হাট, শান্তির হাট, বয়াতির হাট, তুলাতলি বাজার, জনতা বাজার, ক্লোজার বাজার, মাঝ কাজী বাজার পর্যন্ত এই সড়কটি অত্যান্ত জনগুরুত্বপূর্ণ। তবে এসব এলকার মানুষ ভোলার সর্ববৃহৎ পশুর হাট ইলিশা বাজারে যেতে হলে এই সড়কের বিকল্প নেই, ফলে এই এলাকার বাসিন্দা ও হাট বাজারে আসা যাওয়ার একমাত্র ভরসা এই ১৫ কিলোমিটার সড়ক।
সড়কটি ইলিশা বাজার সংলগ্ন পশ্চিম পাশে ব্রিজের উভয় পাশে ধ্বসে পড়ছে, কিছুদুর পরে মাতাব্বর বাড়ির পোল নামে পরিচিত জায়গায়টি ধ্বসে পরে বেহাল দশার তৈরি হয়েছে, ফলে ভ্যান, অটোরিকশা, ইজিবাইক, মটর সাইকেল ও নসিমন, করিমনসহ সকল ধরণের যানবাহন চলাচলে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পরছে। কিচুদিন দিন আগেই মাতাব্বর পোল পূঃণ নির্মাণ করা হয়েছে। পোলটি পূণঃ নির্মাণের সময় খালের মাটি তুলে পার্শ্ব রাস্তা তৈরি করা হয়েছে বলে মূল সড়কটি ধ্বসে পরার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। তাই এবছর অতিরিক্ত বৃষ্টি পাতের ফলে সড়কটি ধ্বসে পড়ছে বলে মন্তব্য করেন স্থানীয়রা।
সংশ্লিষ্ট দপ্তর জানিয়েছেন এ বছরে অতিরিক্ত বৃষ্টি পাতের ফলে খালের পাশে নির্মিত সড়কের অনেক জায়গায় ধ্বসে যাবার ঘটনা ঘটেছে, তবে অতি দ্রুত এসব ধ্বসে পরা সড়কের সংস্কার করার উদ্যোগ নেওয়া হবে।
স্থানীয় বাসিন্দা লিটন বলেন সড়কটির কিচু অংশ ভেঙ্গে খালে পড়ে যায়, এখন অর্ধেকাংশ সড়ক আছে তবুও ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে যানবাহন। যেকোন সময় দূর্ঘটনা ঘটতে পারে, দ্রুত সড়কে ভেঙ্গে পড়া অংশগুলো মেরামত করে জন চলাচল ঝুঁকিমুক্ত করার দাবি জানান তিনি।
ভেঙে পরা অংশের পাশের মসজিদের ইমাম সাহেব বলেন সড়কটি ধ্বসে পরার কারনে চলাচল করা খুব ঝুঁকিপূর্ণ,ছোট ছোট গাড়ি কোন রকম ভাবে চলা করছে, তবে জরুরী সেবায় ফায়ার সার্ভিস এ্যাম্বুলেন্স এর মত গাড়ি চলাচল করতে বিঘ্ন ঘটায় জনসাধারণ চরম দূর্ভোগের স্বীকার হচ্ছে।
এই সড়কে মালামাল বহনকারী রাজাপুর ইউনিয়নের নসিমন চালক কবির সর্দার বলেন রাস্তা ভেঙে যাবার কারনে খালি গাড়ি নিয়ে কোন রকমে যেতে পারলেও বোঝাই গাড়ি নিয়ে প্রায় ১৫ কিলোমিটার রাস্তা ঘুরে যেতে হয়। খালের কারনে রাস্তাটি ভেঙ্গে পড়ছে আমাদর দাবি সরকার যেন জনবহুল এই সড়কের পাশের খালে মজবুত টেকসই বাঁধ নির্মাণ করে দেয়।
ধ্বসে পড়া রাস্তার বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী (এলজিআরডি) শিপলু কর্মকার জানিয়েছেন আমরা ধ্বসেপড়া বেশকিছু সড়কের প্রস্তাব ইতিমধ্যে করেছি, উক্ত প্রস্তাবে এই সড়কগুলো না থাকলে আরো প্রস্তাব সংযোজন করে প্রস্তাব পেশ করা হবে, অতি দ্রুত ধ্বসেপড়া সড়কের মেরামত করা হবে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।
এসআই