লক্ষ্মীপুর: অভিন্ন সার্ভিস কোড এবং চুক্তিভিত্তিক কর্মচারীদের স্থায়ী নিয়োগের দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে লক্ষ্মীপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এসময় তারা নানা অনিয়ম, দুর্নীতি ও হয়রানির অভিযোগ তুলে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডকে (আরইবি) অচল করে দেওয়া হুশিয়ারি দেন।
সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সামনে আয়োজিত মানববন্ধনে সমিতি প্রায় ৫ শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী অংশ নেয়। মানববন্ধনকারীরা অনিয়ম, দুর্নীতি হয়রানি বন্ধসহ নানা বৈষম্য থেকে বের হতে চায়।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন- সমিতির ডিজিএম (টেকনিক্যাল) মো. তাজুল ইসলাম, জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার মো. পাবেল মিয়া, হিসাব রক্ষক মাসুম বিল্লাহ, লাইন টেকনিশিয়ান শরীফুল ইসলাম, লাইনম্যান (গ্রেড-২) সিহাব সম্রাট, পিসিএম সলিম উল্যা, মিহির চন্দ্র দে প্রমুখ।
এসময় বক্তারা বলেন, দেশের ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ১৪ কোটি গ্রাহককে বিদ্যুৎ সেবা দিচ্ছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি। যা সারাদেশের বিদ্যুৎ সরবরাহের প্রায় ৮০ শতাংশ। গ্রাহকদের সাথে সরাসরি কাজ করে নিরলসভাবে সেবা দিয়ে যাচ্ছে সমিতি। এতে কর্মীদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ২০ ঘণ্টার বেশি সময় পর্যন্ত কাজ করে যেতে হয়। এরপরেও পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের কর্তারা সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শোষণ, হয়রানি ও নিপীড়ন করে যাচ্ছে। সমিতির লোকজনের উপর কর্তৃত্ব করছে তারা। ফলে সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আরইবির বলয় থেকে মুক্তি পেতে চায়। তা না হলে আরইবিকে অচল করে দেওয়ার হুশিয়ারী দিয়েছে মানববন্ধনকারীরা।
তারা আরও বলেন, ২০১৩ সালের আইনে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড এবং পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির একই আইনের অধীনে জনসেবক (একই প্রতিষ্ঠান) হলেও পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের সার্ভিস কোড সরকার কর্তৃক গেজেট আকারে পাশ করা হয়৷ কিন্তু পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সর্ভিস কোড পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড কর্তৃক মনগড়া। যা কোন সরকারি-বেসরকারী সার্ভিস কোডের সাথে সামঞ্জস্য নয়। যেখানে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড এর অসদাচারণ হলো ৪টি, আর সমিতির অসদাচারণ ৩৬টি। এটা চরম বৈষম্য বলে দাবি সমিতির লোকজনের।
সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জানায়, তারা নানা দাবি জানিয়ে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে আন্দোলন শুরু হয়। পরে দফায় দফায় পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তারা বৈঠক করেন। এতে আংশিক দাবি পূরণে হলেও মূল দাবিগুলো উপেক্ষিত থাকে।
এসএস