ময়মনসিংহ: নান্দাইলে গরু চুরির অপবাদে মাইকিং করে জনৈক মো. রসুমুদ্দিনের বাড়ি-ঘরে আগুন দিয়েছে কয়েক গ্রামের বাসিন্দা।
আগুনে বাড়ির ২০টি ঘর পুঁড়ে যায়, বাড়িতে থাকা ৩৫টি গরু, ৫০০ মণ ধানসহ বসত ঘরে থাকা বিভিন্ন আসবাবপত্র ও পুকুরের মাছ লুটপাট করে নিয়ে গেছে গ্রামের লোকজন। এছাড়াও আগুন দেওয়ার পূর্বে বাড়িতে থাকা লোকজনকে মারধর করে তাড়িয়ে দেওয়া হয়।
মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার আব্দুল্লাহপুর গ্রামে মো. রসুমুদ্দিনের বাড়িঘরে আগুন ও লুটপাটের এই ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছার আগেই এই লুটপাটের ঘটনা ঘটে। এতে করে রসুমুদ্দিনসহ তার ৫ পুত্র মতিবুর রহমান, আতাবুর রহমান, সুমন মিয়া, মানিক মিয়া ও সোহেল মিয়ার বাড়ি-ঘরের ব্যাপক ক্ষতিসাধিত হয়েছে।
এলাকাবাসী জানায়, মঙ্গলবার সকালে মানিক মিয়ার গোয়াল ঘরের পিছনে একটি গরু পাওয়া যায়। উক্ত গরুটি চোরাই গরু বলে এলাকায় খবর ছড়িয়ে পড়লে পরে স্থানীয় সংগ্রামখালী বাজারে মাইকিং করে অভিযুক্ত রসুমুদ্দিনের বাড়ি-ঘরে চালায় গ্রামবাসী।
এ ঘটনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গৌরীপুর সার্কেল অতিরিক্ত দায়িত্ব প্রাপ্ত) আফরোজা নাজনীন, নান্দাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অরুন কৃষ্ণ পাল ও নান্দাইল মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরিদ আহমেদসহ সঙ্গীয় ফোর্স ঘটনাস্থল পরির্দশন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন।
জনৈক রশুম উদ্দিনের দাবী ২০২১ সালে একটি খুনের ঘটনায় প্রতিবেশী মৃত আছাম উদ্দিনের পুত্র হাবিবুর রহমান ও জিয়া উদ্দিনের নেতৃত্বে পূর্বপরিকল্পিতভাবে আমাদের বাড়িঘরে হামলা ও লুটপাট করা হয়েছে।
তবে হাবিবুর রহমান জানান, রসুমুদ্দিন ও তার পুত্ররা প্রকৃত গরু চোর এবং এটা চোরের বাড়ি। এদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ ও ক্ষুব্ধ হয়ে ৪/৫ গ্রামের লোকজন বাড়ি-ঘরে হামলা দিয়েছে।
এ বিষয়ে নান্দাইল মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরিদ আহমেদ বলেন, এ ঘটনায় দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বর্তমানে সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গৌরীপুর সার্কেল অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত) আফরোজা নাজনীন, চুরি ঘটনাকে কেন্দ্র করে এ ঘটনাটি ঘটেছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নান্দাইল মডেল থানার ওসিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এআর