বরিশাল: বিএনপির অফিসে অগ্নিসংযোগ, লুটপাট ও ভাঙচুরের মামলায় আওয়ামী রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ৯ জন সদ্য সাবেক কাউন্সিলরসহ ২১ জনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) বেলা ১১টায় নগরীর ১০টি ওয়ার্ডের ১০ জন কাউন্সিলর চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণ করেন জামিন প্রার্থনা করে।
তাদের মধ্যে একজন কাউন্সিলর অসুস্থ থাকায় তার জামিন মঞ্জুর করেন আদালত। বাকিদের জামিন না মঞ্জুর করে আদালতের পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক আশরাফ উদ্দিন।
উচ্চ আদালত থেকে ৪ সপ্তাহের আগাম জামিন নেওয়ায় পুলিশ আসামিদের রিমান্ড চায়নি বলে জানিয়েছেন বাদী পক্ষের আইনজীবী হাফিজ আহমেদ বাবলু। এ নির্দেশনার বিপরীতে উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে বলে জানিয়েছেন আসামি পক্ষের আইনজীবী আফজালুল করিম।
কারাগারে যাওয়া কাউন্সিলররা হলেন-সামসুদদ্দোহা আবিদ, আউয়াল মোল্লা, কেফায়েদ হোসেন রনি, খান মোহাম্মদ হোসেন, জয়নাল আবেদীন, আনোয়ার হোসেন রয়েল, এনামুল হক বাহার, হুমায়ুন কবির ও জিয়াউল হক মাসুম। এছাড়া ১৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সামজিদুল কবির বাবু অসুস্থ থাকায় তার জামিন মঞ্জুর করেন আদালত।
বাদী পক্ষের আইনজীবী হাফিজ আহমেদ বাবলু জানিয়েছেন, বিএনপির অফিসে অগ্নিসংযোগ, ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনায় মঙ্গলবার আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ১০ কাউন্সিলরসহ ২২ নেতাকর্মী আদালতে আত্মসমর্পণ করেন।
এ সময় পক্ষে-বিপক্ষে যুক্তিতর্ক তুলে ধরেন বাদী ও বিবাদীর আইনজীবীরা। দীর্ঘ শুনানি শেষে বিচারক ৯ কাউন্সিলরের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণ করেন।
বাদী পক্ষের আইনজীবী বাবলু আরও বলেন, এ মামলার প্রধান আসামি সাবেক প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক শামীম ও জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সুমন সেরনিয়াবাতসহ ১৬ জন কারাগারে আছেন। মামলার উল্লেখযোগ্য আসামি সদ্য সাবেক সিটি মেয়র আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ, সাবেক সিটি মেয়র সাদিক আব্দুল্লাহ ও সদ্য সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এ.কে.এম. জাহাঙ্গীর পলাতক রয়েছেন।
প্রসঙ্গত, গত ২৩ আগস্ট মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান খান ফারুক বাদী হয়ে ৩৮১ জন নামধারী এবং ৮০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে এ মামলা দায়ের করেন।
এআর