নেত্রকোণা: নেত্রকোণার পূর্বধলা উপজেলাধীন পূর্বধলা থেকে ঘাগড়া যাওয়ার রাস্তাটির অবস্থা নাজেহাল হয়ে পড়েছে। রাস্তার কার্পেটিং উঠে ভেঙে যাচ্ছে। বিভিন্ন স্থানে সৃষ্টি হয়েছে খানা-খন্দ। রাস্তার পাশ থেকে সরে গেছে মাটি। এ অবস্থার মধ্যেও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছে পূর্বধলার ৩ টি ও পার্শ্ববর্তী ধোবাউড়া উপজেলা ১টি ইউনিয়নের প্রায় ২০ গ্রামের মানুষ। ১৫ কি:মি: দৈর্ঘ্যবিশিষ্ট রাস্তাটি দিয়ে চলাচল করে বিভিন্ন স্কুল–কলেজের শিক্ষক শিক্ষার্থী, ক্রেতা-বিক্রেতা, সরকারি-বেসরকারি চাকরিজীবি, অসুস্থ রোগীসহ সাধারণ মানুষজন। একসময়ের জমজমাট ঘাগড়া বাজারের ধানমহলটিও বন্ধ হয়েছে রাস্তাটিতে বড় যানবাহন যাতায়াতের অনুপযোগী হওয়ায়।
সরজমিনে দেখা গেছে, খানা-খন্দ আর ভাঙনের কারণে ১০ ফুটের মূল সড়ক থেকে অনেকটা সরু হয়ে গেছে রাস্তাটি। বিশেষ করে মেঘশিমুল থেকে ঘাগড়ার মধ্যকার মেঘশিমুল ব্রীজ, দুধি মোড়, দুধি কমিউনিটি ক্লিনিক সংলগ্ন ও চরপাড়ার অংশের বেশীর ভাগ জায়গা মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। এছাড়াও রাজধলা বিলপাড় সংলগ্ন দুটি স্থানে নতুন করে ভাঙনের দেখা দিয়েছে। যার ফলে সব ধরণের যানবাহনের জন্য জায়গাটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। রাস্তাটির সৃষ্ট ভাঙনে সরু হওয়ায় বড় কোন যানবাহন ঢুকতে পারে না।
অটোরিক্সা চালক মোকশেদুল জানান, আমি অনেক বছর ধরে এ রাস্তায় অটোরিক্সা চালাই। রাস্তাটি ভাঙাচোরা হওয়ার কারণে আমরা যাত্রী কম পাই। তাছাড়া কিছুদিন পরপর গাড়িরও সমস্যা দেখা দেয়। যাত্রী কম হওয়ায় আমাদের আয়-রুজি কম হয়। আমরা চাই রাস্তাটি যেন দ্রুত মেরামত করা হয়।
এছাড়াও সিএনজি চালক মারুফ বলেন, পূর্বধলা থেকে ময়মনসিংহ যেতে যে সময় লাগে ঠিক তেমনই সময় লাগে ঘাগড়া থেকে পূর্বধলা যেতে। ভাঙা রাস্তায় গাড়ি চালাতে মন চায় না। তবু সংসারের ভরণ-পোষণের তাগিদে রাস্তায় নামতে হয়। আমি অনেক রোগী নিয়ে ময়মনসিংহ যাই এই রাস্তা দিয়ে। তাদের কষ্ট আর দুর্দশা ভাষায় প্রকাশ করার মতো না।
স্থানীয় ঘাগড়া দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আঃ মোতালিব জানান, ঘাগড়া থেকে পূর্বধলা সদর রাস্তাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমানে রাস্তাটির ভগ্নদশার কারণে মানুষকে প্রতিনিয়ত দুর্ভোগ পুহাতে হচ্ছে। তাই রাস্তাটির প্রশস্ততা বাড়িয়ে দ্রুত সংস্কারের দাবি জানান তিনি।
পূর্বধলা এলজিইডি অফিসের উপ-প্রকৌশলী শাওন আহমেদ জানান, পূর্বধলা থেকে ঘাগড়া রাস্তাটির দু’পাশে প্রচুর গাছ থাকায় রাস্তার প্রশস্ততায় প্রতিবন্ধকতা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তারপরও রাস্তার দু’পাশে ১ ফুট করে মোট ২ ফুট বৃদ্ধি করে রাস্তাটি সংস্কারের প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। আরসিআইপি প্রজেক্টের আওতায় সারাদেশে ২০২৬ সালের মাঝামাঝি সময় কাজটি বাস্তবায়ন হতে পারে।
এসএস
আপনার মতামত লিখুন :