ঝালকাঠি: ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার বিষখালী নদীতে দেখা দিয়েছে ভাঙন। ভাঙনের ফলে জিও ব্যাগ দেবে গিয়ে ঝুঁকিতে রয়েছে মঠবাড়ি ইউনিয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভবন। এছাড়াও ভেঙ্গে যাচ্ছে ফসলের জমি, ঘরবাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।
স্থানীয়রা জানান, বছরের পর বছর ধরে, শতশত বাড়ি ও ফসলী জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরেই বাদুরতলা বাজারের দোকানগুলো নদী ভাঙনে বিলীন হচ্ছে। পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় হঠাৎ কয়েকটি দোকান বিলীন হয়েছে। ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে একাধিক বসতবাড়ি, প্রাথমিক বিদ্যালয় ও বাদুরতলা জামে মসজিদসহ বেশ কিছু স্থাপনা। এমনকি আমাদের মধ্যে এমন অনেক লোক রয়েছে, যাদের কেউ মারা গেলে মাটি দেয়ার জায়গা পর্যন্ত নেই, সবকিছু নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গিয়েছে। নদীতে জিও ব্যাগ ফেলা হলেও ভাঙনরোধ করা সম্ভব হচ্ছে না। দ্রুত স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করা প্রয়োজন।
মঠবাড়ি ইউনিয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক স্বপন কুমার জানান, ২০০২ সালে আমি এই বিদ্যালয় যোগদান করি। তখন এই স্কুল নদী থেকে মিনিমাম আধা কিলোমিটার দূরে ছিল। ইতিমধ্যে স্কুলের কয়েকটি কক্ষ ভেঙে গেছে। এখন জিও ব্যাগ দেবে নতুন করে ভাঙনে বিলীনের পথে স্কুলটি। আতঙ্কের মধ্য দিয়ে ক্লাস করছে শিক্ষার্থীরা। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ যদি আমাদের এই স্কুলটি রক্ষা করার জন্য বাঁধ বা নদী শাসনব্যবস্থা না করেন তবে অচিরেই আমাদের এই বিদ্যালয়ের নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাবে। যদিও বছর দুই তিন আগে কিছু বালির বস্তা ফেলেছিল কিন্তু তা দেবে নদীতে নেমে যাচ্ছে। আমরা শিক্ষকরা তিন থেকে সাড়ে তিনশ শিক্ষার্থী নিয়ে খুবই উদ্বিগ্ন।
জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সুনিল চন্দ্র সেন বলেন, বিদ্যালয়টি ওই স্থান থেকে স্থানান্তর করা প্রয়োজন। এ ব্যাপারে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে তথ্য উপাত্ত সহ আমাদের অফিসে পাঠাতে বলেছি। যা আমরা ঊর্দ্ধতন কর্মকর্তাকে অতি দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য লিখিতভাবে জানাবো।
ঝালকাঠি পানি উন্নয়ন বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী এ.কে.এম নিলয় পাশা বলেন, বিষখালী নদীর তীরবর্তী রাজাপুর উপজেলার বাদুরতলা নামক স্থানে আকস্মিক কিছু ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। আমরা স্থানটি পরিদর্শন করেছি। উক্ত স্থানের জন্য আমরা সার্ভে রিপোর্ট তৈরি করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
এসএস