• ঢাকা
  • শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

সিরাজগঞ্জে প্রাথমিক শিক্ষকদের মানববন্ধন


সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি অক্টোবর ২, ২০২৪, ০৭:০২ পিএম
সিরাজগঞ্জে প্রাথমিক শিক্ষকদের মানববন্ধন

সিরাজগঞ্জ: শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নতিকসহ সহকারী শিক্ষকদের ১০ম গ্রেড এবং প্রধান শিক্ষকদের ৯ম গ্রেডে বেতনের দাবীতে সিরাজগঞ্জের তাড়াশে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।    
বুধবার (২ অক্টোবর) বিকাল সাড়ে ৪টায় উপজেলার চত্বরে তাড়াশ উপজেলা বৈষম্য নিরসনে প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠন সমন্বয় পরিষদের ব্যানারে এ কর্মসূচি পালিত হয়।

উপজেলার নলুয়াকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. ওমর ফারুকের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্যে রাখেন, তাড়াশ মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. নজরুল ইসলাম, দোবিলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ উল্লাহ ইউসুফ, পৌষার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মোমিন খোকন, মাদারজানি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক ফাতেমা খাতুন।

এ সময় বক্তারা প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকদের জীবনমান উন্নত ও মর্যাদাসম্পন্ন করতে দশম গ্রেড বাস্তবায়নে বিভিন্ন ধরনের যুক্তি তুলে ধরেন।  তারা বলেন, প্রাথমিক শিক্ষকগণ অন্য দেশের চেয়ে বেতন ভাতা কম পান। কিন্তু পরিশ্রম করেন বেশি। একুশ শতকে বিশ্ব শিক্ষার বিশ্বায়নে কাজ করছেন এবং এগিয়ে যাচ্ছেন। দশম গ্রেড শুধু আমাদের দাবিই নয়, এটি আমাদের ন্যায্য ও যৌক্তিক অধিকার। এর কারণ একজন নার্স এবং উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা চার বছর মেয়াদি ডিপ্লোমার পর নিয়োগ পেয়ে (এইচএসচি সমমান) বেতন পায় দশম গ্রেডে। শুধু তাই নয়, একজন ইউনিয়ন পরিষদের সচিব, পুলিশের উপপরিদর্শকসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তারাও স্নাতক সমমান যোগ্যতায় নিয়োগ পেয়ে বেতন পায় নবম-দশম গ্রেডে। তাহলে সমযোগ্যতা হওয়া সত্ত্বেও আমাদের সঙ্গে এই বৈষম্য কেন? পাশাপাশি অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কাছে দশম গ্রেড বাস্তবায়নের জোর দাবি জানান।

কহিত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক জেসমিন আক্তার মুক্তা বলেন, স্নাতক সম্পন্ন করে একজন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক বেতন পান ১৩তম গ্রেডে। অথচ অষ্টম শ্রেণি পাস করা একজন সরকারি গাড়িচালক বেতন পান ১২তম গ্রেডে। মানে একজন শিক্ষকের চেয়ে গাড়ি চালকের পদমর্যাদা বেশি। 

উপজেলার ওয়াশিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু হাসেম বলেন, বর্তমান দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে একজন সহকারী শিক্ষকের ১৩তম গ্রেডে বেতন-ভাতা দিয়ে জীবন চালানো খুবই কঠিন। অনেক শিক্ষকের মাসের পর মাস ধারদেনা করে চলতে হয়। অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কাছে আমাদের প্রাণের দাবি জানাচ্ছি।

এসএস

Wordbridge School
Link copied!