চাঁপাইনবাবগঞ্জ: চাঁপাইনবাবগঞ্জ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের এক শিক্ষার্থীকে মারধরের জেরে মহানন্দা সেতুর টোল প্লাজায় অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এতে পায় দেড় ঘণ্টা চাঁপাইনবাবগঞ্জ-সোনামসজিদ স্থলবন্দর সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল।
বুধবার (২ অক্টোবর) বিকেলে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদরের মহানন্দা সেতুর টোল প্লাজায় এ ঘটনা ঘটে।
পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ওই শিক্ষার্থীর নাম মো. হুজাইফা ইবনুল সাকিল।
হুজাইফা ও স্থানীয় লোকজন জানান, সকালে হুজাইফা মোটরসাইকেল নিয়ে তার ইনস্টিটিউটে যাওয়ারসময় বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপটেন মহিউদ্দিন (মহানন্দা) সেতুর টোল আদায়কারীরা তার কাছে টোল চান। এ নিয়ে ওই শিক্ষার্থী ও টোল আদায়কারীদের মধ্যে তর্ক হয়। একপর্যায়ে হুজাইফাকে টোল আদায়কারীরা ছেড়ে দেন। হুজাইফা ক্যাম্পাসে গিয়ে সহপাঠীদের বিষয়টি জানালে তারা বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। বিকেলে ফেরার পথে আবার হুজাইফার মোটরসাইকেল আটকান টোল কর্মীরা। এসময় টোল আদায়কারীরা চড়াও হলে উভযের মধ্যে শুরু হয় ধাক্কাধাক্কি। পরে টোল আদায়কারীরা হুজাইফাকে লাঠি ও হাত দিয়ে মারধর করতে শুরু করলে তার সহপাঠীরা একত্রিত হয়ে তাকে রক্ষা করেন এবং টোল আদায়কারীদের ধাওয়া করলে তারা পালিয়ে যান। বিকেলে দল বেধে এসে টোল ঘরে হামলা ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন শিক্ষার্থীরা।
এসময় পাশে অবস্থিত উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়েও ভাঙচুর চালানো হয়। পরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এসে পরিস্থিতি শান্ত করে এবং আগুন নেভায়। এসময় পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা রাস্তা অবরোধ করেন। এতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-সোনামসজিদ স্থলবন্দর সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে সন্ধ্যা ৬টার দিকে পুলিশ ও সেনাবাহিনী চাঁপাইনবাবগঞ্জ-শিবগঞ্জ সড়কটি যান চলাচলের উপযোগী করে তোলে।
এসময় পুলিশ ও সেনাবাহিনীর কাছে শিক্ষার্থীরা মহানন্দা সেতু পুরোপুরি টোলমুক্ত করে দেওয়ার অনুরোধ জানান।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম জাকারিয়া জানান, শিক্ষার্থীদের বুঝিয়ে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এখন পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক। শিক্ষার্থীদের কাছে টোল বির্তক ও সমস্যা নিয়ে আবেদন চাওয়া হয়েছে। আর যারা এ বিশৃঙ্খলার সঙ্গে জড়িত, পুলিশ তাদের খুঁজে বের করবে। তবে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এ সেতুতে টোল আদায় বন্ধ থাকবে।
আইএ