বরগুনা: বঙ্গোপসাগরে অব্যাহত লঘু চাপের প্রভাবে গত তিন চারদিনের টানা বৃষ্টিতে বরগুনা জেলায় ৯৪ হাজার ৯৪৫ হেক্টর জমিতে আবাদকৃত জমির প্রায় ৪০ শতাংশ জমি পানির নীচে তলিয়ে গেছে। বৃষ্টি আরো অব্যাহত থাকলে এবং দুই দিনের মধ্যে পানি নিরসণ না হলে তলিয়ে থাকা চাড়ার পচন ধরতে পারে। এমন পরিস্থিতি কৃষকেরা হয়ে পড়ছে দুশ্চিন্তা গ্রস্হ। ঘূর্ণিঝড় রিমাল পরবর্তী বরগুনায় অতি বৃষ্টিতে আমনের বীজতলা টানা দুই বার সম্পূর্ণভাবে পচে যায়। এবার যদি বপন করা চাড়া পঁচে যায় তাহলে দ্বিগুণ খরচের সম্মুখীন হতে হবে কৃষকদের।
বরগুনায় অব্যাহত টানা বৃষ্টিতে অনেকেরই এখন চাষাবাদ ব্যাহত হচ্ছে। নলটোনা ইউনিয়নের কৃষক রবিউল ইসলাম জানান পরিস্থিতি এতটাই খারাপ এবছরে অতি বৃষ্টির আমন মৌসুমের ধান ঘরে তুলতে পারবো কিনা জানিনা। এর মধ্যে টানা বৃষ্টিতে রোপন করা বীজ এখন পানির নীচে। বৃষ্টি যদি অব্যাহত থাকে এবং পানি যদি দু একদিনের মধ্যে পানি নেমে না যায় তাহলে পুনরায় বীজ বপন করতে হবে। আর এখন বীজ পাওয়াও দুস্কর। রিমালের পর বৃষ্টিতে কয়েকবার আমনের বীজতলা তলিয়ে পঁচে গেছে।
বরগুনা সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বরগুনা সদর উপজেলায় পঁচিশ হাজার নয় শত হেক্টর জমি আমন মৌসুমের চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছে। ইতিমধ্যে সদর উপজেলায় শতকরা আশি ভাগ জমিতে বীজ রোপণ করা হয়েছে। তবে টানা কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে রোপণ করা চাড়ার ক্ষেত অধিকাংশ পানিতে ডুবে গেছে। মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাতেদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে কৃষকের ক্ষয়ক্ষতি কতটা হয়েছে তা নিরূপণ করার পাশাপাশি সঠিক পরামর্শ প্রদান করার জন্য।
কৃষিবিদ মোস্তাফিজুর রহমান আরো বলেন, অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে সবজি চাষের ওপরও অনেকটা প্রভাব পড়ছে। বিশেষ করে লালশাক, চিচিঙ্গা, লাউ, সিম, কাঁচা মরিচের অনেক ক্ষতির মুখে পড়তে পারে। সেক্ষেত্রে কৃষকের পাশে থাকতে মাঠ কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
এসআই/এম