ঝিনাইদহ: ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্তে ধুড় পাচারকারীদের হাতে সোহাগ ও শাহিন নামে দুই জন আহত হয়েছেন। তাদেরকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করা হয়। শুক্রবার (৫ অক্টোবর) রাতে উপজেলার কাজীরবেড় গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। আহতদের মধ্যে সোহাগ হোসেনকে মুমুর্ষ অবস্থায় শনিবার দুপুরে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
চারজন ধুড় (অবৈধপন্থায় ভারতে অনুপ্রবেশকে আঞ্চলিকভাবে ‘ধুড়’ নামে ডাকা হয়, সাধারণত নিন্মআয়ের মানুষেরাই এই প্রক্রিয়ায় গমনাগমনের ঝুঁকি নেয়) বিজিবির হাতে আটক হওয়ার পর বিজিবির সোর্স সন্দেহে পাচারকারীরা তাদের কুপিয়ে জখম করে বলে জানা গেছে।
মহেশপুর ৫৮ বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার রাতে মহেশপুরের পলিয়ানপুর বিওপি’র সদস্যরা ভারতে পাচারের সময় মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার কুরুনদি গ্রামের প্রতিক সরকার, জয় বিশ্বাস, সিলেটের শ্রীমঙ্গল উপজেলার বাদিয়ালিশ গ্রামের মাসুমা আক্তার হ্যাপী ও সিলেটের মাধরপুর উপজেলার গোপালপুর গ্রামের হালিমা খাতুন নামে ৪ জনকে আটক করে। খবর পেয়ে বিজিবি তাদের আটক করে।
এসময় সীমান্তের কাছেই একটি খালে মাছ ধরছিলেন কাজীরবেড় গ্রামের নাসির উদ্দিনের ছেলে সোহাগ (৩০) ও সাহাবুউদ্দিনের ছেলে শাহিন (২৮)। পাচারকারীদের সন্দেহ এরাই বিজিবি দিয়ে চার ধুড়কে ধরিয়ে দিয়েছে। বিজিবি ঘটনাস্থল ত্যাগ করলে বাঘাডাঙ্গা গ্রামের মুনছুর আলীর ছেলে মোবারক ও মোমিনের ছেলে মানিকসহ ৩/৪ জন পাচারকারী ধারালো অস্ত্র দিয়ে সোহাগ ও শাহিনকে খাল পাড়েই কুপিয়ে জখম করে। খবর পেয়ে নিকটস্থ পলিয়ানপুর বিওপির বিজিবি সদস্যরা আহতদের উদ্ধার করে মহেশপুর হাসপাতালে পাঠায়। আহতদের অবস্থা গুরুত্ব হওয়ায় মহেশপুর থেকে যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। এরমধ্যে আহত সোহাগকে ঢাকায় রেফার্ডকরা হয়েছে।
এবিষয়ে মহেশপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুর রহমান কাজল শনিবার বিকালে জানান, বিজিবি সদস্যরা গোপন সংবাদ পেয়ে কাজীরবেড় গ্রামের ব্রিজ এলাকা থেকে চারজন ধুড়কে আটক করে থানায় সোপর্দ করেছে। এ বিষয়ে থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। তিনি আরও জানান, পাচারকারীদের হামলায় দু’জন আহত হয়েছেন বলেও তিনি জানতে পেরেছেন।
এসএস
আপনার মতামত লিখুন :