বরগুনা: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন শেষ হওয়ার পরেও বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ও দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং বিএনপি সম্পর্কে কটুক্তি করায় বরগুনায় স্থানীয় এক যুবলীগ নেতাকে বৈদ্যুতিক খাম্বায় গামছা দিয়ে বেঁধে জুতা পিটা করে পুলিশে সোপর্দ করার অভিযোগ উঠেছে।
নির্যাতিত ওই যুবলীগ কর্মীর নাম মোঃ সুমন হাওলাদার। সে তালতলী উপজেলা যুবলীগের সদস্য এবং সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ছিলেন। তাকে বেঁধে রাখার একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করা হলে তা আলোচনার কেন্দ্র বিন্দুতে পরিণত হয়।
জানা গেছে, সুমন হাওলাদার বিগত সরকারের সময় ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে বহু লোকজনকে নির্যাতন ও অপমান করেছে। রোববার (৭ অক্টোবর) রাত আটটার দিকে তালতলী বন্দরের মদিনা মসজিদ এলাকায় সেসকল ভুক্তভোগীরা তাকে ধরে নিয়ে খাম্বার সাথে গামছা দিয়ে বেঁধে জুতাপিটা করে পুলিশ খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে তাকে থানায় নিয়ে যায়।
তালতলী বিএনপি নেতা আলআমিন হাওলাদার এবিষয়ে বলেন, গত সরকারের সময় সুমন বিভিন্ন মানুষ জনের ওপর অত্যাচার নির্যাতন করেছে। ৫ আগষ্টের পর খালেদা জিয়া, তারেক রহমান সম্পর্কে বাজে মন্তব্য করেছে। এমনকি তার ফেসবুকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করায় তার বিরুদ্ধে মানুষের ক্ষোভ বেড়ে যাওয়ার ফল তাকে লাঞ্ছিত করা হয়। তার বাবা সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার থাকা অবস্থায় ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা বানিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা কামাই করছে। মুক্তিযোদ্ধা অফিসের টাকা ভাড়ার নামে চাঁদাবাজি করেছে। সুমনের জ্বালায় এলাকায় মানুষ ছিল সর্বদা আতঙ্কগ্রস্থ।
এদিকে সুমনকে খাম্বার সাথে বেধে রাখার ছবি ফেসবুকে পোস্ট করার পর নিন্দার ঝড় ওঠে। অনেকই এটাকে মধ্যযুগীয় নির্যাতন বলে পোস্ট ও কমেন্ট করেছে।
এবিষয়ে তালতলী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ কালাম খান জানান, সুমন নামে একজনকে তালতলী থেকে আটক করে থানায় আনা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে গত ১ অক্টোবর তারিখের দুলাল নামের এক ব্যক্তির করা মামলার সঙ্গে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়ায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। আজ তাকে আদালতে উঠানো হবে।
এসএস