কুড়িগ্রাম: মায়ের কাঁধে করে প্রতিনিয়ত ঘর থেকে বাইরে বের হন জন্ম থেকে শারীরিক প্রতিবন্ধী রাসেল মিয়া (১৯)। তার বাড়ি কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার ফুলবাড়ী সদর ইউনিয়নের নাগদাহ গ্রামে। রাসেলের জন্মের কয়েক বছর পর তার বাবা খালেক মিয়া তার মা রাহিলা বেগমকে ছেড়ে অন্য জায়গায় বিয়ে করে সংসার পেতেছেন। রাহিলা বেগমের দুই ছেলের মধ্যে রাসেল মিয়া ছোট ছেলে। বড় ছেলে নিজের মতো করে সংসার পেতেছে। তাই নিজের ও ছোট ছেলের মুখে দুবেলা দুমুঠো অন্য জোগাতে প্রতিদিন অন্যের বাড়িতে কাজ করেন রাহিলা বেগম।
শারীরিক প্রতিবন্ধী হওয়ায় দিনও রাতের বেশিরভাগ সময় বিছানায় একা পড়ে থাকতে হয় রাসেল মিয়াকে। চলাফেরা করতে না পারায় বাহিরের আলো বাতাস থেকে প্রতিনিয়ত বঞ্চিত হন তিনি। একটি হুইল চেয়ার হলে বাহিরের আলো বাতাস প্রতিনিয়ত পাবেন রাসেল মিয়া। হুইল চেয়ার কেনার সামর্থ্য না থাকায় সমাজের বিত্তবান ও সহৃদয় ব্যক্তির কাছে একটি হুইল চেয়ারের আকুতি জানিয়েছেন রাসেল মিয়া ও তার মা রাহিমা বেগম।
শারীরিক প্রতিবন্ধী রাসেল মিয়া জানান, হাঁটাচলা করতে না পারায় সারাদিন বিছানায় পড়ে থাকতে হয়, আমার মত শারীরিক প্রতিবন্ধীকে কেউ একটি হুইল চেয়ার দিয়ে সাহায্য করলে আমি প্রতিনিয়ত বাহিরের আলো বাতাস পেতাম।
রাসেল মিয়ার মা রাহিলা বেগম জানান, আমি গরিব মানুষ, আমার ছেলের জন্য হুইলচেয়ার কেনার মত কোন সামর্থ নেই। আমার ছেলেকে কেউ একটি হুইল চেয়ার দিলে আমি সারা জীবন তার জন্য নামাজ পড়ে দোয়া করতাম। আর আমার ছেলেটি বাইরের আলো বাতাস দেখতে পেত।
এসএস